ঝিনাইদহের আরেক নেতা বাবুও একই ঘটনায় রিমান্ডে আছেন।
Published : 13 Jun 2024, 04:44 PM
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই জালাল আহমেদ জানান, মিন্টুকে আদালতে হাজির করে ১০ রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। আর আসামির পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়।
শুনানির সময় বিচারকের জিজ্ঞাসায় মিন্টু বলেন, “আমি নির্দোষ, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। ৪৬ বছরের রাজনীতিতে আমার খুন খারাবির কোনো রেকর্ড নেই। ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে আজ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। এখন মনোনয়ন চাওয়ায় আমার অপরাধ হয়েছে।”
মিন্টু বলেন, “আমি ওয়ান ইলেভেনে গ্রেপ্তার হয়েছি। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ১৩ বার গ্রেপ্তার হয়েছি। মানুষের জন্য রাজনীতি করেছি। কিন্তু আমাকে রাজনৈতিক কারণে ফাঁসানো হচ্ছে।”
শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে বিচারক ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানান এসআই জালাল।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আনার কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত ১১ মে তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। প্রথমে কলকাতার বরাহনগরে তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন।
এরপর স্থানীয় থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস। তদন্ত শুরু হয় দুই দেশে। ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, নিউ টাউনের এক বাড়িতে খুন হয়েছেন এমপি আনার। এর পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভারতের পুলিশের বরাত দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজন হিসেবে মিন্টু মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার হন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর আসে। সেদিন পুলিশ এ নিয়ে মুখ না খুললেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিন্টুকে ডেকে আনার কথা ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বুধবার জানান।
তিনি বলেছিলেন, “মিন্টু যদি তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেন তাহলে তিনি এখান থেকে চলে যাবেন। আর যদি না পারেন তাহলে তদন্তের ধারাবাহিকতায় যা করার তা করা হবে।”
আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে তার বাবাকে ‘হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের’ অভিযোগ আনা হয়। তবে আসামি হিসেবে সেখানে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এ মামলায় গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে গত ৯ জুন ৭দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। এরমধ্যেই মিন্টুকে একই মামলায় রিমান্ডে পেল গোয়েন্দা পুলিশ।
এর আগে গ্রেপ্তার এই মামলার আসামি শিমুল ভুইঁয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভুইঁয়া ও শিলাস্তি রহমান রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
পুলিশ বলছে, এমপি আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী তার বাল্যবন্ধু ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ঝিনাইদহের আখতারুজ্জামান শাহীন। আর হত্যাকাণ্ডটি বাস্তবায়ন করেছেন চরমপন্থি নেতা আমানুল্লা ওরফে শিমুল।
আনার কলকাতায় যাওয়ার পরদিন বৈঠক করার জন্য আখতারুজ্জামান শাহীনের ভাড়া বাসায় যান। সেখানেই আসামিরা তাকে হত্যা করে।
আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টুকে 'ডাকা' হয়েছে, সদুত্তর দিতে না পারলে গ্রে