সামনের দিনে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক ও বাংলাদেশের জনগণের জন্য টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সহায়তা দিয়ে যাবে তারা, বিবৃতিতে বলেছে এডিবি।
Published : 14 Aug 2024, 09:14 PM
বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই উন্নয়নে আগের মতোই পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগী এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি।
বুধবার সন্ধ্যায় বিবৃতি দিয়ে ব্যাংকটি বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে তাদের চলমান প্রকল্পের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা হবে। সামনের দিনে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক ও বাংলাদেশের জনগণের জন্য টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সহায়তা দিয়ে যাবে তারা।
ব্যাংকটি বলেছে, তারা অন্তর্বর্তী সরকার এবং বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।
বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্ব চলমান রাখার জন্য ‘সম্পূর্ণরূপে’ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার বিষয়টি বর্ণনা করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার (বাংলাদেশের) জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত টেকসই উন্নয়নকে সবসময়ই সমর্থন করে এডিবি।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বাংলাদেশে এডিবির কাজের মূল লক্ষ্য সরকারি খাতের ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন নিশ্চিতে কাজ করা, যা সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ঘটনা আমলে নিলে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
“আমরা সামষ্টিক-আর্থিক টেকসইতা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কাজ চালিয়ে যাব, যার মধ্যে রয়েছে আর্থিক খাত আরও দৃঢ় ও সুসংহত করা এবং দেশীয় সম্পদের আহরণ বৃদ্ধি করা।”
বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বেসরকারি খাতের উন্নয়ন সম্প্রসারিত করা বাংলাদেশে এডিবি দ্বিতীয় লক্ষ্য বলে বিবৃতিতে বর্ণনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ব্যবসা করার খরচ কমাতে সরকার-টু-ব্যবসা পরিষেবাগুলোকে ‘স্ট্রিমলাইন’ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার বিষয়টিও এডিবির লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের জনগণ ক্রমবর্ধমানভাবে বন্যা, খরা ও তীব্র গরমে ভুগছে। ফলে এডিবি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তার উন্নয়ন কর্মসূচিতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একটি সম্পূর্ণ সরকারি পদ্ধতি তৈরি করতে সহায়তা করবে।
এডিবি জানাচ্ছে, তারা ১৯৭৩ সাল থেকে বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। এ পর্যন্ত ৭২৬টি সরকারি খাতে ঋণ, অনুদান ও প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে অবদান রেখেছে তারা; সাকুল্যে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩১ দশমিক ৮ বিলয়ন ডলার।
আরও পড়ুন