অধ্যাপক মো. আব্দুল হালিম বলেন, “বারবার শিক্ষার নীতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসার কথা বলে শিক্ষার্থীদের দোদুল্যমানতায় ফেলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আর রাজনৈতিক কারণে বারবার শিক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসাটাও অনাকাঙ্ক্ষিত।”
Published : 18 Jan 2025, 02:03 AM
নতুন বছরের শুরতেই কিছু বিষয়ে কোচিং করা শুরু করেছে বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মাহির শাহরিয়ার শীর্ষ। কয়েক দিনের মধ্যে আরও কয়েকটি বিষয়েও কোচিংয়ে পড়বে সে।
প্রায় সব বিষয়ে কোচিং ক্লাস শুরু করায় ছেলের পড়াশোনার খরচ বেড়ে গেছে বলে জানালেন তার মা ফজিলাতুন নাহার শাম্মী।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “গত বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে কোচিং খুব জরুরি না হলেও কয়েকটি বিষয়ে শিক্ষকদের বাসায় পড়তে পাঠিয়েছিলাম। তবে আগের শিক্ষাক্রম ফিরে আসায় সপ্তম শ্রেণির শুরু থেকে প্রায় প্রতিটি বিষয়ের কোচিংয়ে পাঠাব বলে ঠিক করেছি।”
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ছেলের পড়াশোনার খরচতো বাড়বেই। সবগুলো বিষয়ের কোচিং করাতে অনেকগুলো টাকা চলে যাবে।”
চলতি বছর শিক্ষাক্রমের পরিবর্তনের জেরে শিক্ষার খরচ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা হয়েছে। কোচিং ও নোট-গাইড এই ব্যয়বৃদ্ধির মূল কারণ হবে বলে মনে করছেন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠান ও গবেষকরা।
তাদের মতে, ‘অভিজ্ঞতানির্ভর’ শিক্ষাক্রম বাতিল করে দিয়ে একযুগ আগের ‘মুখস্ত নির্ভর’ শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা কোচিং ও নোট-গাইডমুখী হয়ে পড়বে। আর অভিভাবকদের ওপর নেমে আসা ‘বাড়তি খরচের খড়্গ শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হারও বাড়াবে’।
ঝরে পড়ার হার বাড়ার শঙ্কা
২০১২ সালের যে শিক্ষাক্রম আবারও বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে তাতে ‘কোচিং ও নোট-গাইড নির্ভরতার’ অভিযোগ ছিল। এক যুগ আগে প্রণয়ন করা এ শিক্ষাক্রমে কোচিং ও নোট-গাইডের ৩০ হাজার কোটি টাকার বাজার সৃষ্টি হয়েছিল বলে ২০১৬ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
ওই শিক্ষাক্রম ফিরে আসায় শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির জেরে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও)।
এমন বাস্তবতায় কোচিং ও নোট-গাইডের খরচ থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে ‘জীবনমান উন্নয়ন ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের শিক্ষাদানে আন্তরিক ও যোগ্য করে গড়ে তোলা’ এবং ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির’ তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষা গবেষকরা।
আর শিক্ষাক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডও (এনসিটিবি) কোচিং ও নোট-গাইডের বাড়তি খরচ এড়াতে শিক্ষকদের জীবনমান ও শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নসহ কিছু ‘কাঠামোগত’ পরিবর্তনের মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষকে শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা দেখছে।
২০২৩ সালে প্রাথমিকের একটি ও মাধ্যমিকের দুটি শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল। ‘অভিজ্ঞতা নির্ভর’ সেই শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে ‘কোচিংমুখিতা ও নোট-গাইড ব্যবহারের প্রবণতা কমবে’ বলে একাধিকবার দাবি করেছিলেন বিগত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা।
২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে নোট-গাইড ও কোচিং নির্ভরতায় শিক্ষার্থীদের ব্যয় বেড়েছিল বলে বিভিন্ন সময়ে গবেষণায় পাওয়া গেছে।
গণসাক্ষরতা অভিযানের ‘এডুকেশন ওয়াচ রিপোর্ট ২০২২’ অনুসারে, ২০২২ সালে অষ্টম ও নবম শ্রেণির প্রায় ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট টিউশন নিতে হয়েছে। প্রাথমিকের ৭৯ ও মাধ্যমিক স্তরের ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ওই বছর তাদের পাঠ ও পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য নোট-গাইডবই অনুসরণ করেছে।
আর ২০২২ সালের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ২০২৪ সালের মার্চে প্রকাশিত ‘এডুকেশন ওয়াচ রিপোর্ট ২০২৩’ এ বলা হয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষা খাতে বার্ষিক পারিবারিক গড় ব্যয় ছিল ১৩ হাজার ৮৮২ টাকা এবং নবম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীর জন্য এই ব্যয় ছিল ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। এই খরচের বড় অংশ ছিল কোচিং ও নোট-গাইড বাবদ।
২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ ব্যয় ২৫ শতাংশ ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এ ব্যয় ৫১ শতাংশ বেড়েছিল বলেও ওই প্রতিবেদনে উঠে আসে।
২০২৩ সালে পঞ্চম ও নবম শ্রেণিতে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম বহাল ছিল। ওই বছরের শুরু থেকে প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়।
গত ৫ অগাস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার ‘নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয়’ ঘোষণা দিয়ে শিক্ষাক্রম নতুন করে পরিমার্জন না হওয়া পর্যন্ত ২০১২ সালে প্রণীত শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কথা জানায়।
২০২৫ সালে ওই শিক্ষাক্রম অনুসারেই পাঠ্যবই হাতে পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
চলতি বছর ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হওয়ায় ‘শিক্ষার ব্যয় বেড়ে যাবে’ বলে আশঙ্কা করছেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও এডুকেশন ওয়াচ রিপোর্ট ২০২৩-এর পর্যালোচক রাশেদা কে চৌধুরী।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন হল এগিয়ে যাওয়া, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। এগিয়ে যেতে হলে আমরা কি পেছনে ফিরে তাকাব?
“২০১২ সালের কারিকুলামে ৭০ শতাংশের বেশি আউট অব পকেট এক্সপেন্স। সে শিক্ষাক্রমে যদি আমাদের এতই ব্যয় করতে হয় তাহলে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ কীভাবে পাব?”
আগের শিক্ষাক্রম ফিরে যাওয়াকে ‘পিছিয়ে পড়া’ আখ্যায়িত করে তিনি আরও বলেন, “কোচিং নির্ভর হয়ে গেছে ওই শিক্ষা। ওটাতে ফিরে যাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা দেখি না। কারিকুলামকে একটা নিরবচ্ছিন্ন সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিতে হয়। কারিকুলাম যেটি চালু হয়েছিল, জাতির নবজাগ্রত প্রত্যাশার দিকে তাকিয়ে, সেটি সংস্কার করা যেত। তড়িঘড়ি বাতিল করে দিয়ে আমরা আরও পিছিয়ে পড়লাম।
“যেখানে কোচিং গাইড বইয়ের বাণিজ্য, সেখানে নিম্নবিত্ত মানুষ, যেমন রিকশাচালকের সন্তান, প্রান্তিক কৃষকের সন্তান পড়ালেখা করতে পারবে না।”
কোচিং ও নোট-গাইডের প্রবণতা ঝরে পড়া বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন রাশেদা কে চৌধূরী।
“ভয় পাচ্ছি দুটো। একটা হচ্ছে শিশুশ্রম বাড়বে। ইনফ্লেশনতো সাংঘাতিক রকম। আর বাল্যবিয়ে বাড়বে। মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে দিলে তো বাবা-মায়ের খরচটা হবে না।”
‘প্রতিযোগিতা’ বাড়াচ্ছে শিক্ষার খরচ
শিক্ষা গবেষকরা মনে করছেন, শুধু শিক্ষাক্রম নয়, শ্রেণিকক্ষে অপ্রতুল শিক্ষা এবং এর সঙ্গে অভিভাবকদের প্রতিযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি শিক্ষার্থীদের পেছনে খরচ বাড়াচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, “হুট করে শিক্ষার পরিবর্তন, রাজনৈতিক কারণে শিক্ষার পরিবর্তন, শিক্ষায় সংকট সৃষ্টি করে। আগের শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা কিছু বাধা দেখেছেন বলেই সামালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ওই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের জন্য স্কুলগুলো কি প্রস্তুত ছিল? নামকাওয়াস্তে শিক্ষকদের যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল সেটি কি পর্যাপ্ত ছিল?
“ক্লাসরুম যখন শিক্ষাকে পরিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীকে আত্মস্থ করিয়ে দিতে পারে না, তখন অভিভাবকরা কোচিং নোট-গাইডের দ্বারস্থ হন। কার্যকর শিক্ষার জন্য স্কুল ও শিক্ষকদের গড়ে তুলতে হবে। এজন্য শিক্ষকদের জীবনমানের উন্নয়ন, তাদের জন্য কার্যকর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে, স্কুলে শিক্ষার সামগ্রী সরবরাহ করতে হবে। সর্বোপরি শিক্ষায় বাজেট বাড়াতে হবে।”
অভিভাবকদের মধ্যে ফলাফল বা ভালো গ্রেড নিয়ে এক ধরনের প্রতিযোগিতা দেখা যায়, সে কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এটি অনেকক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিকও, কারণ ভালো গ্রেড শিক্ষার্থীদের জন্য তার পছন্দসই উচ্চ শিক্ষার সুযোগ প্রসারিত করে। এজন্য কোচিংগুলো সহায়তা করে। স্কুলগুলো বা শিক্ষকদের যদি আমরা গড়ে তুলতে না পারি, তবে এই জায়গাটা থেকেই যাবে।”
একই ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মো. আব্দুল হালিম বলেন, “বারবার শিক্ষার নীতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসার কথা বলে শিক্ষার্থীদের দোদুল্যমানতায় ফেলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আর রাজনৈতিক কারণে বারবার শিক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসাটাও অনাকাঙ্ক্ষিত।”
‘শিক্ষকদের জীবনমানেও উন্নয়ন দরকার’
কোচিং বন্ধে শিক্ষকদের বেতন ও জীবনমান উন্নয়ন এবং নোটগাইডে নির্ভরশীলতা কমাতে পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু পুনর্গঠন ও প্রশ্ন কাঠামোতে পরিবর্তন আনার কথা বলছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
তিনি বলেন, “নোট-গাইড বন্ধ করার বিষয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা হল, পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু পুনর্গঠন করতে হবে, এমনভাবে করতে হবে যাতে বিভিন্ন প্রকারের প্রশ্ন সেখান থেকে করা যায়। প্রশ্ন এমনভাবে করতে হবে যেন তা কমন না থাকে। সুতরাং প্রশ্নকাঠামোতেও পরিবর্তন আনতে হবে।
“আইএলটিএস ও জিআরই পরীক্ষাতেও অনেকেই সহায়ক বইয়ের সহায়তা নেয়, কিন্তু সেখানে হুবহু কোনো প্রশ্ন আসে না। এই মেথডে যদি আমরা প্রশ্ন করতে পারি, তাহলে বৈচিত্র্যময় প্রশ্ন তৈরি করা সম্ভব। প্রশ্ন যখন কমন পড়বে না তখন নোট গাইডের নির্ভরশীলতা কমে গিয়ে পাঠ্যবই প্রাধান্য পাবে।
“নোট-গাইডের ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স। নোট-গাইড ছাপানো বন্ধ করার বিষয়ে সরকারও কঠোর। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি নোট-গাইড বন্ধের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে নোট-গাইডের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য। ইতোমধ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অভিযান পরিচালিতও হচ্ছে।”
কোচিং বন্ধ করতে হলে ‘শিক্ষকদের জীবনমানের উন্নয়ন ও বেতন বাড়াতে হবে’ মন্তব্য করে অধ্যাপক রিয়াজুল আরও বলেন, “তা হলে শিক্ষকরা স্কুলে শিক্ষার্থীদের সময় বেশি দেবেন। আর দুই শিফটের ক্লাসকে এক শিফটে রূপান্তর করতে হবে। এটা সম্ভব হলে সাত-আট ঘণ্টা যখন স্কুলিং হবে তখন বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি সময় দেবেন। বেতন কাঠামো ও এক শিফটের ক্লাস এ ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তন আনা গেলে, শিক্ষকদের ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিলে কোচিং নির্ভরশীলতা কমে যাবে।”
শিক্ষা উপদেষ্টা যা বললেন
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের ভাষ্য, কোচিংয়ে পড়তে হলে খরচ কিছুটা বাড়বেই। তবে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা আন্তরিক হলে ‘এ সংকট থাকবে না’।
কোচিং ক্লাস করানোর প্রবণতা কমাতে শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নের বিষয়ে এক প্রশ্নে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “আপাতত এখনই শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে পারছি না। তবে শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নে সচেষ্ট হতে হবে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।”
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছিলেন, ওই পাঠ্যক্রমে অনেক গুরুতর সমস্যা ছিল বলে তার মনে হয়েছে। সেটি হল, নবম শ্রেণি ও দশম শ্রেণিতে শুধু সাধারণ গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান পড়ানো হবে, উচ্চতর গণিত ও উচ্চতর বিজ্ঞান পড়ানোর সুযোগ রাখা হয়নি।
তাই ‘আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার’ কথা বলে উপদেষ্টা এ নিয়ে ‘সমালোচনা হবে’ বলেও মন্তব্য করেন ওই অনুষ্ঠানে।