অপরাধ ট্রাইব্যুনালেল প্রধান কৌঁসুলি দেশে না থাকায় বিষয়টি আগামী সপ্তাহে শুনানির জন্য আবেদন করেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
Published : 03 Dec 2024, 02:34 PM
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ময়মনসিংহের খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদের জামিনের শুনানি হবে আগামী সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়।
আসামি পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
অপরাধ ট্রাইব্যুনালেল প্রধান কৌঁসুলি দেশে না থাকায় বিষয়টি আগামী সপ্তাহে শুনানির জন্য আবেদন করেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
গোলাম সাব্বিরের আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, “আজ শুনানি হয়নি। আগামী সপ্তাহে ১০ বা ১১ তারিখ শুনানি হবে।”
২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদসহ পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।
দণ্ডিত অন্যরা হলেন– মো. হরমুজ আলী, মো. আব্দুস সাত্তার, খন্দকার গোলাম রাব্বানী ও মো. ফখরুজ্জামান। ছাব্বির ও ফখরুজ্জামান পলাতক ছিলেন; বাকি তিন আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল।
মু্ক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গুম ও অপহরণের মত মানবতাবিরোধী অপরাধের জড়ি থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ে বলা হয়, রায়ের আগে কারাগারে কাটানোর সময় সাজা থেকে বাদ যাবে।
এ মামলার আসামি ছিলেন মোট ৮ জন; ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কারাগারে মারা গেছেন তিনজন। এরা হলেন, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য এমএ আব্দুল হান্নান, তার ছেলে মো. রফিক সাজ্জাদ ও মিজানুর রহমান মিন্টু।
২০১৫ সালের ১৯ মে ময়মনসিংহের ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন এই মামলাটি দায়ের করেন। ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক পরে মামলাটি ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন।
এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিউর রহমান ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত তদন্ত করেন। ওই বছরের অক্টোবরে প্রসিকিউশনের আবেদনে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।