উপজেলার তৃতীয় ধাপের ভোটে তাদের একজন চেয়ারম্যান পদে ও তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
Published : 16 May 2024, 07:09 PM
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও চার নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার নতুন করে বহিষ্কৃত এই চারজন বিএনপির উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। আগামী ২৯ মে হতে যাওয়া উপজেলার তৃতীয় ধাপের ভোটে তাদের মধ্যে একজন চেয়ারম্যান পদে ও তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে লড়াইয়ে নেমে বহিষ্কার হয়েছেন টাঙ্গাইলের নাগরপুর সদর ইউনিয়নের বিএনপির সদস্য আব্দুল সামাদ দুলাল।
অন্য তিনজন হলেন- ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ঈসারত মুন্সি, হবিগঞ্জের সদর উপজেলার বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হক টিপু এবং পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইউসুফ আলী প্রামানিক।
বৃহস্পতিবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব পর্যায়ের পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত ৮ মে অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে অংশ নেওয়ায় ৭৯ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি। দ্বিতীয় ধাপে তিন দফায় ৬৯ প্রার্থীকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বুধবার ৫১ জনকে বহিষ্কার করে বিজ্ঞপ্তি দেয় বিএনপি। সবশেষ এ চারজনসহ মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০৩।
এবার দেশে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে। ৪৮৫টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়্যারম্যান- এ তিন পদে ভোট হচ্ছে। এলাকা ভাগ করে নিয়ে চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই উপজেলা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। তবে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের একাংশ নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। তাদের মধ্যে যারা ভোটে দাঁড়িয়েছেন, তাদের বহিষ্কার করছে দলটি।
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ‘কোনো নির্বাচনে না যাওয়া’র যে সিদ্ধান্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিয়েছিল বিএনপি, উপজেলা পরিষদেও তা বহাল রেখেছে।
প্রথম দফার ভোটে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত আটজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: