পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে বুধবার শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম বেলাল হোসেন এ আদেশ দেন।
Published : 01 Jan 2025, 02:26 PM
কামরাঙ্গীরচর থানার চাঁদাবাজির দুই পৃথক মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে বুধবার শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম বেলাল হোসেন এ আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেছেন, চাঁদাবাজির দুই পৃথক মামলায় কামরুলের বিরুদ্ধে ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন দুই তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জাহিদ হাসান ও পলাশ চন্দ্র দাস।
ফারুক ফারুকী বলেন, “এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিনের আবেদন করেন। আমি রিমান্ডের জোর দাবি জানিয়েছি। পরে শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুই মামলায় ২ দিন করে মোট ৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।“
সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অন্য অনেক প্রভাবশালী নেতার মত সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামকেও প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না।
গেল গত ১৮ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুলকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে একাধিবার রিমান্ডে নিয়ে কামরুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
চাঁদাবাজির দুই মামলার মধ্যে গত ৪ সেপ্টেম্বর সগীর আহমেদ সুজন নামে এক ব্যক্তি কামরুল ইসলামসহ ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি কামরাঙ্গীচর থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে কামরাঙ্গীচর থানা গত ৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করে। এ মামলার সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
কামরুলের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় চাঁদাবাজির আরেকটি মামলা করেন আলী আহাম্মদ নামের এক ব্যাক্তি। ৪ সেপ্টেম্বর আদালতে এ মামলার আবেদন করেন তিনি। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে কামরাঙ্গীরচর থানাকে আদেশ দেন।
পরবর্তীতে কামরাঙ্গীরচর থানা ৭ সেপ্টেম্বর মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেন। মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ছাড়াও ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়