জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে বন্যায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া গ্রামগুলোর ধ্বংসস্তূপে জীবিত আর কাউকে জীবিত পাওয়া যাবে না বলে ধারণা করছেন উদ্ধার কর্মীরা।
Published : 21 Jul 2021, 06:13 PM
বুধবার দেশটির ত্রাণ বিভাগের একজন কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গত সপ্তাহের শেষ দিকের এ বন্যায় অন্তত ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার। এটি অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে দেশটিতে হওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতি দুর্যোগ।
টেকনিক্যাল রিলিফ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সংস্থার উপপ্রধান জাবিনা লাকনার গণমাধ্যম রিডাকসুনসনেটজভ্যাক ডয়েচল্যান্ডকে বলেছেন, “রাস্তা পরিষ্কার ও বেসমেন্ট থেকে পাম্প করে পানি বের করার পাশাপাশি আমরা এখনও নিখোঁজদের সন্ধান করছি।”
এখন কাউকে পাওয়া গেলেও তার বেঁচে থাকার আশা কম, বলেছেন তিনি।
সরকারি একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ তাৎক্ষণিক ত্রাণের জন্য প্রাথমিকভাবে জরুরি সহায়তা হিসেবে ২০ কোটি ইউরো সরবরাহের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে।
বন্যাক্রান্ত রাজ্যগুলোর ভবন ও ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত এবং সঙ্কটে থাকা লোকজনকে সহায়তা দেওয়ার জন্য এসব তহবিল ব্যবহার করা হবে।
রেস্তোরাঁ ও হেয়ার সেলুনসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও তহবিল সহায়তা দেওয়া হবে বলে দেশটির অর্থনীতি মন্ত্রী পিটার আইতমাইয়ার জানিয়েছেন।
আসছে সেপ্টেম্বরে জার্মানিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে রাজনৈতিক আলোচ্যসূচিগুলোতে এ বন্যা প্রাধান্য পাচ্ছে। এসব আলোচনায় প্রশ্ন উঠেছে, কেন ইউরোপের সবচেয়ে ধনী অর্থনীতির দেশটিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে এমন অপ্রস্তুত হতে হল।
বুধবার জার্মান পত্রিকা বিল্ডে প্রকাশিত এক জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, জার্মানির দুই তৃতীয়াংশ নাগরিকের বিশ্বাস বন্যা থেকে রক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নীতিনির্ধারকদের আরও কিছু করা উচিত ছিল।
জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল মঙ্গলবার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত শহর ব্যাড মুনস্টারআইফেল পরিদর্শন করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়ে আবহাওয়াবিদদের জানানো সতর্কতা সত্ত্বেও কোনো প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি এমন বিস্তর অভিযোগের মুখে তিনি বলেছেন, কী কাজ হয়নি কর্তৃপক্ষগুলো তা খতিয়ে দেখবে।