যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির অজানা সব বিস্ফোরক তথ্যে ভরা নতুন বই প্রকাশ ঠেকানোর চেষ্টায় নেমেছেন তার আইনজীবীরা।
Published : 04 Jan 2018, 09:49 PM
'ফায়ার এন্ড ফিউরি: ইনসাইড দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউজ’ নামের এ বইটি লিখেছেন সাংবাদিক মাইকেল ওলফ। মঙ্গলবারই বইটি প্রকাশের কথা রয়েছে।
কিন্ত ট্রাম্পের আইনজীবীরা একটি চিঠিতে বইটির লেখক এবং প্রকাশকের কাছে এর প্রকাশ, প্রচার এমনকি প্রকাশনাও অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
মার্কিন এটর্নি চার্লস জে হার্ডার বলেছেন, তিনি বইটির লেখকের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ আনবেন।
বইটিতে ট্রাম্পকে নিয়ে নানা অজানা তথ্যের মধ্যে হোয়াইট হাউজের সাবেক চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট স্টিভ ব্যননের একটি বিস্ফোরক মন্তব্য আছে।
বইয়ের তথ্যানুসারে, নির্বাচনী প্রচারের সময় রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ট্রাম্পপুত্র ডোনাল্ড জুনিয়রের বৈঠককে ‘রাষ্ট্রদ্রোহমূলক’ বলে অভিযোগ করেছিলেন ব্যানন।
২০১৬ সালের জুনে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ট্রাম্প টাওয়ারে ওই বৈঠক করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। বৈঠকে রাশিয়ানরা হিলারি ক্লিনটন সম্পর্কে বিধ্বংসী তথ্য দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল।
বৈঠকটিকে ব্যানন ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ এবং ‘দেশপ্রেমহীনতা’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে এফবিআই’কে ডাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ট্রাম্প শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার আঁতাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই বৈঠক নিয়ে তদন্ত করছেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা রবার্ট মুলার।
এমন একটি সময়ে মাইকেল ওলফের বইতে ব্যাননের এমন মন্তব্যের বিষয়টি সামনে আসার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যাননের কড়া সমালোচনা করেছেন। ব্যাননের ‘মাথা খারাপ হয়ে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমার বা আমার কাজের সাথে ব্যাননের কোনো সম্পর্ক ছিল না। তাকে যখন বরখাস্ত করা হল, কেবল চাকরিটাই গেল না তার, মাথাটাও গেল।”