Published : 23 Jan 2024, 05:07 PM
সম্প্রতি এক্স-এ পাড়ি জমানো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইউটিউবার মিস্টারবিস্ট দাবি করেছেন, এর আগে টুইটার নামে পরিচিতি পাওয়া সামাজিক মাধ্যমটিতে কেবল একটি ভিডিও থেকেই তিনি আড়াই লাখ ডলার আয় করেছেন।
এর আগে অবশ্য মিস্টারবিস্ট বলেছেন, সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করা তেমন লাভজনক নয়, কারণ, সেগুলোর বিজ্ঞাপনী আয়ের খুব কম অংশই পেয়ে থাকেন নির্মাতারা।
তবে, গত সপ্তাহে নিজের অবস্থান থেকে ‘ইউ-টার্ন’ নিয়ে এক্স-এ নিজের এক পুরোনো ভিডিও পোস্ট করেন মার্কিন এ ইউটিউবার, যার ভিউ এখন পর্যন্ত সাড়ে ১৫ কোটিরও বেশি।
বিবিসি বলছে, এক্স-এর ব্যবসায়িক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে মিস্টারবিস্টের এমন স্টান্টবাজি খুবই ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
২০২২ সালের অক্টোবরে টুইটার কেনার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমটিতে সম্পৃক্ততা বাড়াতে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে দেখা গেছে এক্স-এর মালিক ইলন মাস্ককে। এর মধ্যে রয়েছে শীর্ষ পর্যায়ের কনটেন্ট নির্মাতাদের সঙ্গে বিজ্ঞাপনী আয় ভাগাভাগির বিষয়টিও, যে সুবিধা এরইমধ্যে চালু আছে ইউটিউবের মতো সামাজিক মাধ্যম সাইটগুলোতে।
তবে, মাস্কের সে পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি সাইটটিতে ট্রাফিকও কমে এসেছে।
এর পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য দেখানোর অভিযোগ তোলা বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে মাস্কের দ্বৈরথকে এক্স-এর বিজ্ঞাপনী আয় কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
মিস্টারবিস্টের আসল নাম জিমি ডনাল্ডসন। এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, এক্স-এ ভিডিও পোস্ট করে ‘শত কোটি ভিউ’ পেলেও সেটা তার জন্য লাভজনক হবে না।
তবে পরবর্তীতে তিনি বলেন, সামাজিক মাধ্যমটিতে ভিডিও পোস্ট করে কী পরিমাণ বিজ্ঞাপনী আয় করা সম্ভব, তা দেখতে তিনি ‘অধীর আগ্রহে’ অপেক্ষা করছেন।
গেল সোমবার মিস্টারবিস্ট বলেছেন, এমন বড় অঙ্কের আয় চোখ কপালে তুললেও হলেও তাতে ‘কিছুটা রহস্যও’ আছে।
“বিজ্ঞাপনদাতারা দেখেছেন, আমার ভিডিও থেকে তাদের বিজ্ঞাপনে ব্যাপক সাড়া মিলছে। আর প্রতি ভিউ’তে আমার আয় সম্ভবত অন্যদের চেয়ে বেশি।” --এক্স-এ দেওয়া পোস্টে লেখেন মিস্টারবিস্ট।
তিনি আরও যোগ করেন, ভিডিও’টি থেকে তিনি যে অর্থ পেয়েছেন, তা তিনি বাছাই করা ১০ জন দর্শককে বিলিয়ে দেবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মিস্টারবিস্টের পরিচিতি না থাকলে এমন বিশাল আয় সম্ভব হতো না।
“তার দাবি, তিনি আড়াই লাখ ডলার আয় করেছেন। একটি ভিডিও’র হিসাবে, তা মোটেও খারাপ না।” --বলেছেন গণমাধ্যম গবেষণা কোম্পানি ‘ডব্লিউ মিডিয়া রিসার্চ’-এর প্রধান কারস্টেন উইডে।
“আয়ের অংকটা ইতিবাচক হলেও এর জন্য বিশাল ট্রাফিক প্রয়োজন।”
তথাকথিত ইনফ্লুয়েন্সাররা যে অর্থ আয় করেন, তা একেকজনের ভিত্তিতে পরিবর্তিত হতে পারে। এমন আর্থিক আয়ের চুক্তিপত্র সাধারণত গোপন থাকে এবং শীর্ষ কনটেন্ট নির্মাতারা সম্ভবত দামদরের বিশেষ সুযোগ পান।
২০২২ সালের নভেম্বরে মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস অনুমান প্রকাশ করেছিল, সে বছর মিস্টারবিস্ট নিজের ইউটিউব চ্যানেল সর্বমোট আয় করেছেন পাঁচ কোটি ৪০ লাখ ডলার।