নিউ ইয়র্ক টাইমসের আয়োজনের মঞ্চেই সামাজিক মাধ্যমটি ছেড়ে চলে যাওয়া বিজ্ঞাপনদাতাদের গালিগালাজ করে মাস্ক এক ধাক্কায় দাম কমিয়েছেন ১০.৭ শতাংশ।
Published : 03 Jan 2024, 12:26 PM
ইলন মাস্ক যে দাম দিয়ে সামাজিক মাধ্যম এক্স (সে সময় টুইটার নামে পরিচিত) কিনেছিলেন, এখন সেটি হয়েছে তিন ভাগের এক ভাগ --এমনই দাবি করেছেন কোম্পানির এক বিনিয়োগকারী।
ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিটির দাম সাড়ে ৭১ শতাংশ কমেছে বলে জানাচ্ছে মিউচুয়াল ফান্ড ‘ফিডেলিটি’।
ফিডেলিটির উদ্ধৃতি প্রকাশ করে বিনিয়োগ কোম্পানি অ্যাক্সিস প্রতিবেদনে বলেছে, অসংখ্য বিতর্কের মুখে পড়ার মধ্য দিয়ে কোম্পানি নিজেই নিজের দামে পতন ঘটিয়েছে।
এর উদ্দীপক হিসেবে কাজ করেছে নভেম্বরে কোম্পানির দাম ১০ দশমিক সাত শতাংশ কমে আসার ঘটনাটি, যখন নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক আয়োজনের মঞ্চেই সামাজিক মাধ্যমটি ছেড়ে চলে যাওয়া বিজ্ঞাপনদাতাদের গালিগালাজ করতে দেখা যায় মাস্ককে।
সে তুলনায় বাকি সামাজিক মাধ্যমগুলো ভালো ফলাফল দেখিয়েছে। একই সময়ে স্ন্যাপচ্যাটের মালিক কোম্পানি স্ন্যাপের দাম বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। আর ফেইসবুকের মালিক কোম্পানি মেটার শেয়ারমূল্য বেড়েছে ৪.৯ শতাংশ।
২০২২ সালের অক্টোবরে ইলন মাস্ক যখন চার হাজার চারশ কোটি ডলারে কোম্পানিটি কিনেছিলেন, তখন তাকে আর্থিক সমর্থন দেওয়া বিনিয়োগ কোম্পানিগুলোর একটি ছিল ফিডেলিটি।
অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর পর থেকেই কোম্পানিটি ওই বিনিয়োগের দাম পর্যবেক্ষণ করছে, যা ২০২৩ সালের শুরুর দিকে স্থিতিশীলই ছিল।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলছে, কোম্পানিটি এক্স-এর ব্যবসার শেয়ার মালিক হলেও তাদের কাছে সম্ভবত এক্স-এর পারফর্মেন্স সংশ্লিষ্ট তথ্য নেই। মাস্কের বিতর্কের পর এক্স বিজ্ঞাপনী ব্যবসায় বড় লোকসান গুনছে, এমন খবর চাউর হলেও কোম্পানিটি এখন ব্যক্তিমালিকানাধীন হওয়ায় আর্থিক ফলাফল দেখানোর বাধ্যবাধকতা নেই।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের মঞ্চে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার এ ঘটনার পাশাপাশি মাস্ককে নিজস্ব সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্যের বিস্তার ঠেকানোর বিষয়ে সতর্ক করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও।
পাশাপাশি, মাস্কের নিজের বিরুদ্ধেও ইহুদি বিদ্বেষী মনোভাব রাখার অভিযোগ উঠেছে।