মঙ্গলে মানুষ প্রেরণের মিশনে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-কে হারাবে প্লেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং, প্রতিষ্ঠান প্রধান ডেনিস মুইলেনবার্গ তেমন পরিকল্পনার কথাই জানিয়েছেন।
Published : 05 Oct 2016, 08:07 PM
“আমি আশ্বস্ত যে, মঙ্গলে পা দেওয়া প্রথম ব্যক্তিটি বোয়িং রকেটে করে সেখানে পৌঁছাবে,” বলেন মুইলেনবার্গ।
নাসা-এর জন্য একটি রকেট তৈরি করছে বোয়িং। এই রকেটটিতেই ২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গলে যাত্রা করার পরিকল্পনা করছে মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি, জানিয়েছে সিএনএন।
এক সপ্তাহ আগেই মঙ্গলে বসতি স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানান স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক। ২০২৪ সালে মঙ্গলে মানুষ প্রেরণের কথা জানান তিনি। আর ২০২৫ সালে গ্রহটিতে মহাকাশযান নামবে বলেও জানানো হয়।
মাস্কের এমন পরিকল্পনা প্রকাশের এক সপ্তাহ পরই মুইলেনবার্গ শিকাগোয় অনুষ্ঠিত উদ্ভাবনী সম্মেলনে তার পরিকল্পনার কথা জানান। তবে, তার কথায় এটি স্পষ্ট নয় যে বোয়িং স্পেসএক্স এর আগে মঙ্গলে পৌঁছাবে নাকি তিনি স্পেসএক্স এর তারিখ পেছানোর আশা করছেন।
এই খবর প্রকাশের আগে সপ্তাহে মেক্সিকোতে মহাকাশ অনুসন্ধান অ্যাসোসিয়েশন-এর এক সভায় মাস্ক স্বীকার করেন ডেডলাইন নিয়ে তিনি অতিরিক্ত আশাবাদী। “এই ধরনের ব্যাপারগুলোতে আমি সবচেয়ে ভালো নই।”
সম্প্রতি রকেটের জন্য নতুন ইঞ্জিনের পরীক্ষা সফলভাবে শেষ করেছে ‘স্পেসএক্স’। মঙ্গলে পাঠানো রকেটে এই ইঞ্জিনটি ব্যবহার করা হবে বলে জানান তিনি। আগামী ১০ বছরের মধ্যেই সেটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছেন মাস্ক।
এ দিকে মুইলেনবার্গ বলেন, “শেষ ১০০ বছরে পুরুষ এবং মহিলারা পৃথিবীতে হাঁটা থেকে চাঁদে হাঁটতে পেরেছে। কিন্তু আমি যখন পরবর্তী শতকের দিকে দেখি, আমি মনে করি উদ্ভাবনের সুযোগ এবং বড় পরিবর্তনগুলো আরো বড়।”
প্রথম অ-সরকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্পেসএক্স এবং বোয়িং উভয় প্রতিষ্ঠানই মার্কিন নভোচারীদের মহাকাশে নেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় নেমেছে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারী নিতে ইতোমধ্যেই চুক্তি করেছে উভয় প্রতিষ্ঠান।
১ সেপ্টেম্বর উড্ডয়নের সময় লঞ্চ প্যাডেই বিধ্বস্ত হয় স্পেসএক্স-এর একটি রকেট। ঠিক কি কারণে রকেটটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি এখনও খতিয়ে দেখছে প্রতিষ্ঠানটি।