ক্লাবের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি চলে গেছেন, নেই আরেক ফরোয়ার্ড অঁতোয়ান গ্রিজমানও। তাতে বার্সেলোনা শক্তিতে কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও তাদের দুর্বল ভাবতে নারাজ বায়ার্ন মিউনিখ কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমান। বরং দলটিতে যারা আছেন তারাই প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
Published : 13 Sep 2021, 09:51 PM
লা লিগার ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নিয়মের কারণে গত অগাস্টে মেসির সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে ব্যর্থ হয় বার্সেলোনা। কাতালান দলটির সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দুই বছরের চুক্তিতে ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে যোগ দেন ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার। আর গ্রীষ্মকালীন দলবদলের শেষ দিনে এক বছরের জন্য ধারে গ্রিজমানকে তার সাবেক ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদে পাঠায় কাম্প নউয়ের দলটি।
রোনাল্ড কুমানের দলের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযান শুরু করবে বায়ার্ন। কাম্প নউয়ে ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে প্রতিপক্ষকে নিয়ে নিজের ভাবনা জানান নাগেলসমান।
“মেসিকে ছাড়া এটা ভিন্ন বার্সা, কিন্তু আমার মনে হয় না তারা দুর্বল। আগে সবাই তার দিকে তাকিয়ে থাকত। এখন অন্য খেলোয়াড়রা অবশ্যই দায়িত্ব নেবে এবং ম্যাচটি অন্যরকম হবে, যেমন চাপের।”
বার্সেলোনায় আগে থেকে আছেন মিডফিল্ডার ফ্রেংকি ডি ইয়ং ও পেদ্রির মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড়। গ্রীষ্মের দলবদলের শুরুতে সের্হিও আগুয়েরো, এরিক গার্সিয়া, মেমফিস ডিপাইকে চুক্তিভুক্ত করার পর শেষ দিনে সেভিয়া থেকে ধারে এক বছরের জন্য ফরোয়ার্ড লুক ডি ইয়ংকে দলে টানে তারা।
আলাদা করে দুই ডাচ ফরোয়ার্ড মেমফিস ও লুক ডি ইয়ংয়ের কথা বলেন নাগেলসমান। বলেন, “ওরা ভয়ঙ্কর।”
“আমি জানি না তারা (বার্সেলোনা) এখন দুর্বল কি না। তবে তারা ভিন্ন এক দল।”
আসছে ম্যাচে বার্সেলোনা ৪-৩-৩ ফর্মেশনে খেলতে পারে, আবার ৩-৫-২ এ ফিরে যেতে পারে। বায়ার্ন কোচ বললেন, তারা সবকিছু মাথায় রেখেই নিজেদের প্রস্তুতি সেরে রাখছেন।
“তারা বিভিন্ন ফর্মেশনে খেলতে পারে, আমরা সেভাবেই নিজেদের প্রস্তুত করছি। তারা ৪-৩-৩ ফর্মেশনে খেলতে পারে অথবা ৩-৫-২ এ ফিরে যেতে পারে, যা তাদের ভালো ফল এনে দিয়েছে। কুমান বলেছেন, তারা হয়তো এই ফর্মেশনে ফিরে যাবে। এই পরিবর্তন আমাদের অবাক করে না।”
বার্সেলোনার বিপক্ষে লড়াইয়ে নামার আগে সবশেষ ম্যাচের স্মৃতি বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিতে পারে বায়ার্নকে। ২০১৯-২০ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার-ফাইনালে কাতালান দলটিকেই ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল তারা। পরে জিতেছিল ইউরোপ সেরার ট্রফিও।