শ্বাসরোধে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে স্ত্রীর মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান মকবুল।
Published : 08 Feb 2023, 05:35 PM
শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যার মামলায় এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. ইমান আলী শেখ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন আদালতের স্পেশাল পিপি গোলাম কিবরিয়া বুলু।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মকবুল হোসেন (৩৬) সদর উপজেলার মির্জাপুর কান্দিপাড়া গ্রামের মো. আশরাফ আলীর ছেলে।
এদিকে একই ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মকবুল হোসেনের মা বকুলা বেগমকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
স্পেশাল পিপি গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে মকবুল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় ঝিনাইগাতী উপজেলার বাতিয়াগাঁও গ্রামের মো. রেফাজ উদ্দিনের মেয়ে মোছা. নুরুন্নাহারের। তাদের সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
কিন্তু ঘটনার দু-তিন বছর আগে থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নুরুন্নাহারকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন স্বামী মকবুল।
এই দাবিতে ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে স্ত্রী নুরুন্নাহারকে মারপিট ও এক পর্যায়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মকবুল। এরপর স্ত্রীর মুখে বিষ ঢেলে মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান মকবুল।
পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি নুরুন্নাহারের বড় ভাই আব্দুল জলিল বাদী হয়ে মকবুল হোসেনসহ ছয়জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন এবং একইদিন মকবুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এই মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ২ নভেম্বর আসামি মকবুল হোসেন ও তার মা বকুলা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার তৎকালীন এসআই শরীফ হোসেন।
বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার মামলার রায় দেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে বলে জানান স্পেশাল পিপি গোলাম কিবরিয়া বুলু।