ঘটনাটি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Published : 30 Apr 2024, 07:48 PM
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার এক গ্রামপুলিশ সদস্যের বড় ভাইয়ের বাড়ি থেকে দুস্থ ও অতি দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ ভিজিএফের ৩২ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন আলম সাহাবুর এবং গ্রাম পুলিশ দুলাল সরদারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সেইসঙ্গে ঘটনাটি তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের বাকপুরা গ্রাম থেকে এসব চাল জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বি এম কুদরত এ খুদা।
গ্রামপুলিশ দুলাল সরদার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের বাকপুরা গ্রামের বাসিন্দা। তার ভাইয়ের নাম হেলাল সরদার।
ইউএনও কুদরত এ খুদা জানান, সোমবার রাত ১০টার দিকে দুলাল সরদার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২৫ কেজি করে ৩২ বস্তা চাল তার ভাইয়ের বাড়িতে নিয়ে যান। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পরে রাত ১টার দিকে অভিযান চালিয়ে ওই বাড়ি থেকে চালগুলো জব্দ করা হয়।
এসব চাল ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব ও অসহায় পরিবারের জন্য বরাদ্দ ছিল বলে জানান তিনি।
গ্রামপুলিশ দুলাল সরদার বলেন, “ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন আলম সাহাবুর চালগুলো বাকপুরা মিশন এতিমখানায় দিতে বলেছেন। ঈদের আগে চাল বিতরণের পর ১৬ বস্তা চাল বেশি হয়েছিল। চেয়ারম্যান বেশ কয়েকদিন তাগিদ দিয়েছিলেন চালগুলো এতিমখানায় দেওয়ার জন্য।
“সোমবার চাল নেওয়ার জন্য দুটি ভ্যান ভাড়া করি। তাদেরকে বলি সরকারি বস্তা পরিষদে রেখে আসবা। ভ্যানে করে চালগুলো নিয়ে আসার পথে পরিচিত একজনের অসুস্থতার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যাই।
“আমি না থাকায় ভ্যান চালকরা চালগুলো আমার বড় ভাইয়ের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে কেউ না থাকায় আমার ছোট ভাই চালগুলো একটি ঘরে নামিয়ে রাখে। পরে প্রশাসন গিয়ে জব্দ করে।”
ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন আলম সাহাবুর বলেন, “ঈদের আগে বিতরণের পর ১৬ বস্তা চাল বেশি হয়। আমি গ্রামপুলিশ দুলাল সরদারকে কয়েকদিন বলেছি চালগুলো বাকপুরা ইসলামী মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দেওয়ার জন্য। আমাকে ফাঁসানোর জন্য বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছে প্রতিপক্ষ।”
ইউএনও কুদরত এ খুদা বলেন, এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন আলম সাহাবুর এবং গ্রামপুলিশ দুলালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।