কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ততার শেষ নেই রাজবাড়ীর পেঁয়াজ চাষিদের। পুরুষদের পাশাপাশি নারী-শিশুরাও কাজ করছে। কিন্তু উৎপাদন খরচের তুলনায় দাম না পাওয়ায় আবাদ খরচই তুলতে পারছেন বলে তাদের ভাষ্য।
Published : 05 Apr 2022, 01:28 PM
বাজারে দাম কম হওয়ায় চাষিদের লোকসান হচ্ছে বলে জানান রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস এম সহীদ নূর আকবর।
লোকসানে পড়ে ভারত থেকে আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন কোনো কোনো চাষি। আবার কেউ বা আগামীতে আর পিঁয়াজ আবাদ ‘করবেন না’ বলে জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, জেলায় এবার পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে ৩৪ হাজার ৮৬৫ হেক্টর জমিতে; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ৮৬৫ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টরে পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ মেট্রিক টন।
উৎপাদন খরচ বেশি, আবার বিক্রয়মূল্য কম পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছালাম।
"ভারতের পেঁয়াজই এদেশের কৃষকদের মেরে ফেলবে," মন্তব্য করে আরেক কৃষক রমজান আলী বলেন, “এখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আনার দরকার কী? আরও তিন মাস পরে আনত; তাহলে কৃষক কয়টা পয়সা পেত।”
কৃষক মো. ফারুক মিয়া বলেন, বৃষ্টির কারণে বিঘাপ্রতি উৎপাদন হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ মণ, অথচ সব ঠিক থাকলে ৫০ থেকে ৬০ মণ পেঁয়াজ পাওয়ার কথা ছিল প্রতি বিঘায়। এতে করে তার বিঘা প্রতি লোকসান গুণতে হচ্ছে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস এম সহীদ নূর আকবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে আরও বলেন, এবারে পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করছে। কয়েকদিন আগে প্রতি মণ পেঁয়াজ কৃষকেরা ১২শ টায় বিক্রি করেছে। বর্তমানে বাজার দর একটু কম।