ফরিদপুরে বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ভূমিষ্ঠ করাতে গিয়ে নবজাতকের কপাল কেটে ফেলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
Published : 16 Jan 2022, 04:56 PM
শনিবার রাতে নবজাতকের বাবা রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের শফিক খান বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় চার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দশ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় কর্তব্য কাজে অবহেলা, বিশ্বাস ভঙ্গ, ভুয়া নার্স সেজে প্রতারণা ও অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ আনা হয় বলে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (প্রশাসন ও তদন্ত) গফ্ফার হোসেন জানান।
শনিবার সকালে ফরিদপুর শহরের আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক প্রসূতির সিজার অপারেশনে নবজাতকের কপাল কেটে ফেলেন অস্ত্রোপচারকারীরা। চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে সেবিকা ও আয়া অপারেশন করেছেন বলে নবজাতকের স্বজনদের অভিযোগ।
স্থানীয় প্রশাসন এই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা বন্ধ ঘোষণা করেছে।
পরিদর্শক গফ্ফার হোসেন বলেন, “এ পর্যন্ত এজাহারনামীয় দুই জনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এরা হলেন নার্স [সেবিকা] চায়না বেগম এবং হাসপাতালের পরিচালক জাকারিয়া রহমান মোল্লা পলাশ।”
আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আল-মদিনা হাসপাতালের লাইসেন্স বন্ধের আবেদন জানানো হয়েছে।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ছীদ্দিকুর রহমান বলেন, “আমরা ওই প্রতিষ্ঠানের কাগজ পত্র খতিয়ে দেখেছি, সেখানে অনেক অনিয়ম পেয়েছি। এছাড়াও ইতিপূর্বে এই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিয়ে প্রশ্ন ছিল; যে কারণে আমরা এই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।”