নরসিংদীর রায়পুরায় যে নারীকে ধর্ষণের পর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, চেষ্টা করেও তাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারেননি চিকিৎসকরা।
Published : 09 Aug 2021, 05:31 PM
প্রবাসীর স্ত্রী ওই নারীকে রোববার ভোররাতে উদ্ধারের পর ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছিল।
সেখানে সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয় বলে রায়পুরা থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন।
ওই নারীর ভাই যে মামলাটি আগে করেছিলেন, তা এখন হত্যামামলায় রূপান্তরিত হবে বলে ওসি জানিয়েছেন।
ওই নারীর দেবরসহ চারজনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা জানার পরপরই দেবর আলী হোসেন এবং হোসেনের ভাগ্নে শাহরিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই নারীকে দগ্ধ অবস্থায় রোববার ভোররাতে রায়পুরা উপজেলার উত্তরবাখর নগর ইউনিয়নের লোচনপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
রায়পুরার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের সোবানপুর গ্রামের ওই নারীর সঙ্গে মরজাল এলাকার প্রবাসী ওই ব্যক্তির বিয়ে হয়। তাদের ১০ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
৩০ বছর বয়সী ওই নারীর অভিযোগ, স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে প্রায় সময়ই শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার উপর অত্যাচার চালাত।
বছরখানেক আগে তার মেয়েকে দেবর আলী হোসেন দা দিয়ে কোপালে তা নিয়ে থানায় মামলা হয়। সেই মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়া হলে ওই নারী তার সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান।
ওই নারী বলেছিলেন, শনিবার করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার কথা বলে তাকে শ্বশুর বাড়িতে ডেকে নেওয়া হয়। সেখান থেকে টিকা কেন্দ্রে যেতে দেবর, ননদের ছেলে, ননদ তাসলিমা বেগম ও জা রহিমা বেগমের সঙ্গে অটোরিকশায় ওঠেন তিনি।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, অটোরিকশায় ওঠার পর তার চোখমুখ বেঁধে ফেলা হয়। এরপর তার দেবর অচেনা নির্জন একটি স্থানে নিয়ে তাকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে ধর্ষণ করে। পরে রায়পুরা-বারৈচা সড়কের পাশে লোচনপুর এলাকার একটি বাঁশঝাড়ের পাশে নিয়ে যায়। সেখানে তার গায়ে তরল জাতীয় কিছু ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।
ওই নারীর আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।