নারায়ণগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগের এক কর্মীকে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে এবং কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Published : 01 Jun 2021, 08:05 PM
মঙ্গলবার দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার গন্ধর্বপুর নামাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোলায়মান মিয়া (৩০) উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকার মজিদ শিকদারের ছেলে। তিনি মুড়াপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী ছিলেন বলছে তার পরিবারের সদস্যরা।
রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ জানান, নিহত সোলায়মানের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
“পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঘটনার বিবরণ দিয়ে নিহত সোলায়মানের ভাই রাজীব মিয়া জানান, মঙ্গলবার দুপুরে নার্সিংগল এলাকার মাছের খামারে খাবার দিচ্ছিল তার ভাই সোলায়মান। তখন সোলমানকে মাছের খামার থেকে মোবাইলফোনে ডেকে গর্ন্ধবপুর নামাপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পর মসজিদের মাইক দিয়ে ডাকাত পড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এলাকাবাসী লাঠিসোঠা নিয়ে এসে দেখে সোলমান পড়ে রয়েছে। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি সোলমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে মাছিমপুর এলাকায় চেয়ারম্যান আলমাছ সমর্থকদের সঙ্গে সোলায়মানসহ তাদের লোকজনের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। চেয়ারম্যানের বাড়িতেও হামলা হয়। সেদিন বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি শুনেছেন তারা।
ওই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছ বাদী হয়ে নিহত সোলমানসহ ২৫ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
তবে সোলায়মান হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে মুড়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছের মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।