ঢাকার সাভার পৌরসভা নির্বাচনে বেশিরভাগ কেন্দ্রে বিএনপির কোনো এজেন্ট দেখা যায়নি। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী বলছেন ভিন্ন কথা।
Published : 16 Jan 2021, 02:23 PM
‘জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত’ আওয়ামী লীরে মেয়র প্রার্থী আব্দুল গণিকে কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট নেই কেন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে বলেন, “বিএনপির এজেন্ট না থাকলে আমি কি করব? বাড়ি থেকে ধরে এনে তো এজেন্ট দিতে পারব না। বিএনপির এজেন্ট কেউ হতে চায় না।”
বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, বিএনপির প্রার্থী তার নিজের এলাকার কেন্দ্রগুলোও আমি ঘুরেছি। সেখানেও তারা কোনো এজেন্ট দিতে পারেননি।
তবে বিএনপির মেয়র প্রার্থী রেফাত উল্লাহ দাবি, সব কেন্দ্রেই তিনি এজেন্ট দিয়েছেন কিন্তু ভয়ে কেউ কেন্দ্রে আসেননি।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ইসহাক হোসেন বলেন, এবারই প্রথম ইভিএমএ ভোট হচ্ছে তাই মহিলাদের ভোট দিতে সমস্যা হয়। না বোঝার কারণে অনেকেই অভিযোগ করছে তারা ভোট দিতে পারেনি।
তার কেন্দ্রে বিএনপির কোনো এজেন্ট নেই জানিয়ে বলেন, “কোনো এজেন্ট পরিচয়পত্রও নিতে আসেনি।”
২৭৯৯ জন ভোটারের বাড্ডা এলাকার স্বর্ণকলি আদর্শ বিদ্যালয়ের মহিলা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ড. গৌতম কুমার জানান, বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১৬ ভাগ ভোট পড়েছে। তার কেন্দ্রেও বিএনপির কোনো এজেন্ট তিনি দেখেননি।
বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (পাকা ভবন) কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আমজাদ হোসেন বলেন, তার কেন্দ্রে ১৮৩৩ জন ভোটার রয়েছে। বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত ১৭ ভাগ ভোট পড়েছে।
এ দুই কেন্দ্রেও বিএনপির কোনো এজেন্ট তারা দেখেননি বলে জানিয়েছেন।
১৫৯৭ জন ভোটারের রেডিও কলোনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আতিকুর রহমান জানান, দুপুর ১টা পর্যন্ত ৩০৫ জন ভোট দিয়েছেন। তবে এ কেন্দ্রে বিএনপির কোনো এজেন্ট নেইন।
সাভার পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে এক লাখ ৮৮ হাজার ৮৮ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৪ হাজার ৫৮৭জন এবং মহিলা ভোটার ৯৩ হাজার ৫০১ জন।
মোট ৮৪টি কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন জানিয়ে জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন অফিসার মুনীর হোসাইন খান বলেন, তবে কোনো কেন্দ্রেই তিনি অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাননি।