নওগাঁয় চাঁদার জন্য ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগে মহাদেবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি রাজু আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Published : 16 Sep 2020, 04:22 PM
বুধবার ছাত্রলীগের এ নেতাসহ গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালত পাঠানো হয়েছে। এদের আগের রাতে ঢাকার এক এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন, মহাদেবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ (৩০), নয়ন (২৫) ও ইমরান মহুরী (২২)। এরা সবাই ছাত্রলীগের সদস্য।
গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আরএফএল ভিগো শোরুমের স্বত্তাধিকারী সোহেল রানার দোকানে ঢুকে তাকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সবাই নড়েচড়ে বসে। জেলা ছাত্রলীগ রাজুকে বহিষ্কারও করেছে।
মহাদবেপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর সোহেল রানার দোকানে ঢুকে তার কাছে ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন গ্রেপ্তাররা। টাকা না দেওয়ায় তাকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ ও তার সঙ্গীরা।
এ ঘটনায় পরদিন রাজু, নয়নসহ অজ্ঞাত আরও ৬ থেকে ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলা করেন ওই ব্যবসায়ী। এরপর থেকে এজহারভুক্ত আসামিরা পলাতক ছিলেন।
গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা থেকে রাজু আহমেদ, নয়ন ও ইমরান মহুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ওই তিনজনকে বুধবার আদালত পাঠানো হয়েছে।
গত রোববার ব্যবসায়ী সোহেলের দোকানের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা তাকে মারপিটের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান বলেন, রাজুর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর সংগঠন থেকে গত ১০ সেপ্টেম্বর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়। তিন দিনের মধ্যে তাকে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জবাব না দেওয়ায় তাকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।