রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এলাকা। যেদিকে চোখ যায় শুধু পাখি আর পাখি। কিচিরমিচির শব্দে মনে হয় গহীন অরণ্যের কোনো পাখিরাজ্য যেন।
Published : 31 Aug 2020, 12:52 AM
মাথার ওপর উড়ে যাচ্ছে হাজারো শামুক খোল, পানকৌড়ি ও নিশি বক। কেউ ছুটছে খাবার সংগ্রহ করতে, কেউবা গাছের ছোট-ছোট ডাল ছিঁড়ে আনছে বাসা বাননোর জন্য। আবার কেউবা তৈরি করা বাসায় ও গাছের ডালে বসে আছে করছে চেঁচামেচি।
পরিবেশ সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রায় একযুগ ধরে এই এলাকায় পাখিরা প্রজনন করে আসছিল। কয়েকবছর আগে কারা প্রাচীর ও আবাসন নির্মাণের জন্য বহু গাছ কেটে ফেলে কর্তৃপক্ষ। ওই সময় পাখিরা আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
এবছর করোনাভাইরাসের কারণে শহরে কোলাহল কমে যাওয়ায় পাখির আগমন বেড়েছে বলেও জানান কেউ কেউ।
তবে এ বছর এখানে পাখির সংখ্যা বেশি বলে মনে করেন তিনি।
অধ্যাপক আমিনুজ্জামান আরও বলেন, ১৫-২০ বছর আগেও রাজশাহী অঞ্চলে খুব বেশি সংখ্যক শামুক খোল চোখে পরত না। কিন্তু এখন অনেক পাখি এই এলাকায় দলবদ্ধভাবে বাস করছে।
আগে শুধু গরম কালে (জুন থেকে সেপ্টেম্বর) এরা পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রজনন করতে আসত বলেও জানান এই বিশেষজ্ঞ।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. নওশাদ আলী বলেন, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ক্যাম্পাসে আগে থেকেই পাখি আসত। তবে এবার বেশি এসেছে। এখনও পাখি শিকার বা তারা যেন কোনোভাবে বিরক্ত না হয় সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।