গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চুরি হওয়া ৪৯টি কম্পিউটারের মধ্যে ৩৪টি ঢাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
Published : 14 Aug 2020, 12:20 PM
এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান।
আটকরা হল- ময়মনসিংহ জেলার চোরখাই গ্রামের মইজউদ্দিনের ছেলে হুমায়ূন (৩৬) ও কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার ইদারচর গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে দুলাল (৩৫)।
মিজানুর বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকার বনানী থানা ও গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ মহাখালীর ‘জিসার ইন্টারন্যাশনাল’ হোটেলের একটি রুম থেকে ৩৪টি কম্পিউটার উদ্ধার করে। আটক দুইজন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এছাড়া গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান লাচ্চু শরীফের ভাই পলাশ শরীফসহ একটি চক্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে পালাশ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান এসআই।
কম্পিউটার উদ্ধারের বিষয়ে ঢাকার বনানী থানার ওসি নুরে আজম মিয়া বলেন, গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চুরি যাওয়া কম্পিউটার জিসার ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে রয়েছে গোপনে খবরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পরে সেখান থেকে ৩৪টি কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমান বলেন, কম্পিউটার চুরির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত ৭ সদস্যের কমিটি তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতরা যত শক্তিশালী হোক না কেন সেটা খুঁজে বের করা হবে।
ঈদের ছুটির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছন দিকের জানালা ভেঙে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেস ড. নূর উদ্দিন আহমেদ জানান।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় গত ১০ অগাস্ট তিনি বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ ঢাকা থেকে ৩৪টি কম্পিউটার উদ্ধার করেছে। এর আগে ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪৭টি ও পরে ৫০টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে।