গাইবান্ধায় চাল আত্মসাতের অভিযোগে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি তদন্তের আদেশ দিয়েছে জেলার একটি আদালত।
Published : 11 May 2020, 11:15 PM
গাইবান্ধার ফুলছড়ি আমলী আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম উপেন্দ্র চন্দ্র দাস রোববার এই আদেশ দেন।
গত ২৫ এপ্রিল “চাল ‘আত্মসাৎ’: গাইবান্ধায় ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ” শিরোনামে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি আমলে নেয় এবং বিস্তারিত তদন্তের জন্য ফুলছড়ি থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়।
ফুলছড়ি থানার ওসি কাওছার আলী সোমবার বিকালে এই আদেশের কপি পেয়েছেন বলে জানান।
ওসি বলেন, আদালতের আদেশে প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা সর্ম্পকে বিস্তারিত তদন্তের জন্য আমলে গ্রহণ করা হয় এবং তদন্ত শেষে আগামী ১৪ জুনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগের বরাতে প্রকাশিত ওই সংবাদ বলা হয়, গজারিয়া ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায় ৫৬০ জনের নাম রয়েছে। এর মধ্যে দেড় শতাধিক ২০১৯ সাল থেকে চলতি এপ্রিল মাস পর্যন্ত ১৭ মাসে কোনো চাল পাননি। ওই কর্মসূচির ডিলার হামিদুর রহমান এসব সুবিধাভোগীদের ৭৫ মেট্রিকটনের বেশি চাল আত্মসাত করেন, যার বাজারমূল্য ২৩ লক্ষাধিক টাকা।
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সভাপতি আবু রায়হান দোলন আদালতের আদেশ হাতে পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, ইতিমধ্যে বিষষটির বিভাগীয় তদন্ত শেষ হয়েছে; এরপর এই ডিলারের ডিলারশিপ বাতিল ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।