বাগেরহাটে এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
Published : 01 Apr 2020, 06:42 PM
বুধবার দুপুরে চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের কুনিয়া গ্রামের মীর জাহিদুল ইসলাম মধুর বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ; আগের রাতে খুন হন তিনি।
নিহত ইতি খানম (২০) চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের কুনিয়া গ্রামের মীর জাহিদুল ইসলাম মধুর স্ত্রী।
নোয়াখালী থেকে নিহতের ভাসুর মীর হাফিজুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, “করোনাভাইরাসের কারণে পরিবহন বন্ধের আগে আমি ও আমার ছোট ভাই জাহিদুল দুই বউকে বাড়িতে রেখে নোয়াখালীতে বেড়াতে আসি। এসে এখানে আটকা পড়েছি।
“বাড়িতে কোনো পুরুষ না থাকার সুযোগে দুইদিন আগে তারা আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আমরা এ ঘটনা পুলিশের অভিযোগ করলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।”
প্রতিবেশী কয়েকজনের সাড়ে তিন বিঘা বাগানবাড়ির জমি নিয়ে তাদের সাথে বিরোধ রয়েছে বলে জানান।
“জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। সেই বিরোধের জেরে ওই প্রতিবেশীরা আমার ভাইয়ের বউকে হত্যা করে থাকতে পারে।”
স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে চিতলমারী থানার ওসি কাজী শরীফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাতের খাবার খেয়ে ইতি খানম একা তার ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের কোনো এক সময়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের দল ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ইতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ”
জাহিদুল তার স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে কয়েকদিন আগে নোয়াখালীতে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় পরিবহণ বন্ধ থাকায় জাহিদুল নোয়াখালীতে আটকা পড়েছেন বলে জানান তিনি।
“জমি নিয়ে বিরোধে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।