চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায়ে এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
Published : 01 Mar 2020, 03:09 PM
রোববার দুপুরে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত মো. জুয়েলের বাড়ি হাজীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম কাজীরগাঁও গ্রামে।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি বিচারক তাকে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী নজিত রায় চৌধুরী জানান, এ মামলায় মো. রিপন নামে এক আসামিকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ অর্থ অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাসের সাজা ভোগ করতে হবে। এছাড়া অপর আরও দুই ধারায় তাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন বিচারক।
এ ছাড়া এ মামলার আসামি রিপনের বোন ফারহানা ওরফে ফেন্সীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রিপন পশ্চিম কাজীরগাঁও গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। ফারহানা সম্পর্কে রিপনের বোন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন না। তারা পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্থানীয় মো. গিয়াস উদ্দিন ও তার ছোট ভাই নাসির উদ্দিন ইফতারের পর বাড়ির পুকুরে ওজু করতে যান। পথে একটি এজমালি রাস্তার পুকুর পাড়ে রিপনদের একটি বাছুর দেখতে পান তারা।
এ সময় নাসির ওই বাছুরটির রশি খুলে দেয় এবং অন্যত্র নিয়ে যেতে বলে। তখন রিপনের সঙ্গে নাসিরের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রিপন তাদের ঘরে থাকা শাবল দিয়ে নাসিরকে কুপিয়ে জখম করে।
এ সময় নাসিরের চিৎকার শুরু করলে জুয়েল ও ফেন্সি ঘরে থাকা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নাসিরকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। নাসিরকে উদ্ধার করার জন্য তার স্বজনরা এগিয়ে গেলে আসলে তাদেরও মারধর করা হয়।
পরে নাসিরকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নাসিররের ভাই গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে হাজীগঞ্জ থানার তৎকালীন এসআই সাদেকুর রহমান একই বছরের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাকিল করলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।