আশুগঞ্জ ইউরিয়া সার কারখানা মেরামতের অবস্থায় না থাকলে আরেকটি কারখানা স্থাপন করার হবে বলে জানিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
Published : 20 Feb 2020, 08:20 PM
বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশুগঞ্জ সার কারখানা পরিদর্শনে এসে এক মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে আশুগঞ্জ সার কারখানাটির যে নাজুক অবস্থায় রয়েছে, তা থেকে উত্তরণের জন্য কারখানাটির নষ্ট ও পুরনো যন্ত্রপাতি পুনঃস্থাপন করা হবে।
“তারপরও যদি কোন পরিবর্তন না হয়, সেক্ষেত্রে নতুন সার কারখানা স্থাপন করা হবে।”
সবাইকে বিদেশি সার আমদানি ঠেকাতে দেশীয় সার উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।
“এর সাথে আরও কারা কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।
“এর সাথে যারাই জড়িত থাকবে তাদের চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।”
আশুগঞ্জ সার কারখানার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হুঁশিয়ার করে মন্ত্রী বলেন, “সার নিয়ে যাতে পত্রিকায় লেখালেখি না হয় সেদিকে সবইকে লক্ষ রাখতে হবে। কৃষক যাতে সময় মত সার পায় সেজন্য সবাইকে সময় মত কাজে আসতে হবে এবং আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।”
দুর্নীতির যত অভিযোগ
আশুগঞ্জ সার কারখানার সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে কারখানার জন্য তরল নাইট্রোজেন কেনার নামে এক কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার ৯৩৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিকভাবে এ অভিযোগের সত্যতা মেলায় মেহেদী হাসানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে কেন স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে না তার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলেছে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া দায়িত্বে অবহেলা ও দুর্নীতিতে সহায়তার অভিযোগে আরও ১১ কর্মকর্তাকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, কারখানার গঠিত কমিটির তদন্তে প্রাথমিকভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ ও কাগজে আর্থিক গরমিলের সত্যতা পাওয়া গেছে। মেহেদী হাসানকে সাময়িক অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় বা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।