খুলনায় প্রচণ্ড শীতের মধ্যে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ-বালাই বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতলগুলোতে রোগীদের ভিড় বেড়েছে। এতে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
Published : 25 Dec 2019, 11:07 AM
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসক মিঠুন দেবনাথ বলেন, হাসপাতালে যেসব রোগী আসছে, তাদের বেশিরভাগের বয়স ছয় মাস থেকে তিন বছর। এদের মধ্যে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাই বেশি।
খুলনা শিশু হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আলামিন বলেন, “শীতের সময় ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে শিশুরা একটু বেশি আসে। কিন্তু এ বছর হঠাৎ করে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ায় রোগীর চাপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। এর মধ্যে ‘কোল্ড ডায়রিয়ায়’ আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেশি।”
“ডায়রিয়া রোগীর চাপ থাকায় মেডিসিন বিভাগ থেকে শয্যা এনে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে দেওয়া হয়েছে; যাতে শিশুরা প্রয়োজনীয় সেবা পায় ও অন্য শিশুরাও নিরাপদে থাকে।”
হাসপাতালের বহির্বিভাগে শিশুদের ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ নিয়ে এখন প্রতিদিন গড়ে ২৫০ জনেরও বেশি শিশু চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান আলামিন।
“কোনো ধরনের প্রস্তুতি ছাড়াই খুলনায় এসেছিলাম। পরে স্থানীয় আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে লেপকাঁথা নিয়ে চলছি।”
খুলনা শিশু হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার নূর-এ-আলম সিদ্দিক বলেন, ঠাণ্ডাজনিত ডায়রিয়ার ৯০ শতাংশ চিকিৎসাই বাড়িতে বসে করা যায়। রোটা ভাইরাস-জনিত ওই রোগে সাধারণত কোনো ওষুধ ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না।
তিনি বলেন, “ডায়রিয়ার একমাত্র ওষুধ হলো খাওয়ার স্যালাইন। তবে পানিশূন্যতা দেখা দিলে স্যালাইন পুশ করার প্রয়োজন হতে পারে।”
গত ১৯ ডিসেম্বর খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই ছিল এ বছরের খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ওই তাপমাত্রা চলে টানা তিনদিন। এরপর ২৩ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ে।
জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম জানান, বুধবার খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে; যা মঙ্গলবার ছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।