পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সাবেক প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মো. আব্দুল কাদিরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
Published : 10 Dec 2019, 08:38 PM
কিশোরগঞ্জ শহরের শহীদী মসজিদে আসরের নামাজের পর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে ইসলামিয়া মার্কেট প্রাঙ্গণে গার্ড অব অনার প্রদানের পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শহরের শোলাকিয়া কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
জানাজা ও দাফনে সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আজিজুল হক জানান, রাষ্ট্রপতি এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাত আড়াইটায় ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তার ছেলে ইটনা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রতন জানান, গত শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে তাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি পাঁচ ছেলে, চার মেয়ে, আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুম মো. আব্দুল কাদিরের মৃত্যুতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল আহসান শাহজাহান এবং জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম গভীর শোক প্রকাশ করে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।
এছাড়াও জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।