দল ভারী করার জন্য যারা ফ্রিডম পার্টি, বিএনপি ও জামায়াতের লোককে আওয়ামী লীগে ঢুকিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক।
Published : 16 Oct 2019, 08:14 PM
ওইসব দল থেকে আসা লোকদের তিনি ‘বিষধর সাপ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
বুধবার দুপুরে দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নানক বলেন, “আওয়ামী লীগের ভেতরে গ্রুপ করার জন্য, দল ভারী করার জন্য ফ্রিডম পার্টি, বিএনপি-জামায়াতকে যারা দলে ঢুকিয়েছেন, তাদের তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে সব স্থান থেকে খুঁজে বের করতে হবে। যারা দলে ঢুকিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নানক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। পরপর তিনবার ক্ষমতায় থাকার কারণে দলে কিছু বিষধর সাপ ঢুকে পড়েছে। যারা এই বিষধর সাপকে দলে ঢুকিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
“আওয়ামী লীগ কোনো সনাতন দল নয়, আওয়ামী লীগ একটি ত্যাগের নাম, অনুভূতির নাম।”
যারা দলে ‘বহিরাগত’, তাদের নিজেদের উদ্যোগে কেটে পড়ার পরামর্শ দেন তিনি।
একইসঙ্গে তাদের খুঁজে বের করতে তিনি দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আগামী ২১ ও ২২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন করার কথা উল্লেখ করে দলের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, “আগে জেলা-উপজেলা সম্মেলন শেষ করতে চাই। আওয়ামী লীগের জেলা-উপজেলা সম্মেলন করবেন ভালো কথা। তবে সেখানে আমরা নিজের লোক খুঁজি, পারলে বাড়ির কাজের লোককেও কমিটিতে রাখতে চাই, তাদের নাম দিতে চাই, এই অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “জেলা-উপজেলায় সভাপতি, সম্পাদক নিজেরা কথা বলেন না। গ্রুপিং করেন কেন এত? বিভাজন-বিভেদ কেন? মনে রাখতে হবে এদিন দিন নয়, আরও দিন আছে। দল করবেন, গ্রুপিং করবেন, সেটা আর বরদাশত করা হবে না।”
নানক তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মতামত ও দুঃখ-বেদনার কথা শুনবেন বলে জানান।
বর্ধিত সভায় দিনাজপুর জেলা, পৌরসভা, উপজেলা সভাপতি-সম্পাদক, জেলা সভাপতি-সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।
রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজার রহমান ফিজারসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।