নোয়াখালীতে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে ইটভাটার এক নারী ও এক পুরুষ শ্রমিককে গাছে বেঁধে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে পেটানোর মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Published : 06 Jun 2019, 04:43 PM
সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের বুদ্ধিনগর এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে জাফর আহমদকে তারা গ্রেপ্তার করেন।
জাফরের বাড়ি ওই এলাকায় বলে পুলিশ জানায়।
ওসি জানান, গত ২ জুন রোববার সকালে বুদ্দিনগর এলাকায় ওই নির্যাতনের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বুধবার রাতে ওই নারী বাদী হয়ে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক জাফরসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
পরে মামলার বাদী ওই নারীসহ জাফরের স্ত্রী ও তার মাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, নির্যাতনের শিকার ওই নারী বুদ্ধিনগর এলাকায় থেকে স্থানীয় একটি ইটভাটায় কাজ করেন। তার সঙ্গে যে ব্যক্তিকে মারধর করা হয়েছে তিনিও একই ইটভাটায় কাজ করেন। দীর্ঘদিন স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ না থাকায় ওই নারী তার মা ও দুই সন্তানের সঙ্গে থাকেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে, আর পাশে নারীকে একটি লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পর ওই ব্যক্তিকেও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি তার সহকর্মী ওই নারীর কাছে দুই হাজার টাকা পেতেন। টাকা আনার জন্য রোববার সকালে তার বাড়ি গেলে স্থানীয় কিছু লোকজন ‘মিথ্যা অপবাদ’ দিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায়।
“পরে আমার সহকর্মী ও তার মা অনুরোধ করলেও তারা আমাকে ছাড়েনি। উল্টো আমার সঙ্গে ওই নারীকেও মারধর করে। দফায় দফায় মারধরের একপর্যায়ে বেঁধে রাখা অবস্থায় আমার মাথার চুল ফেলে ন্যাড়া করা দেয় তারা,” বলেন তিনি।