জনগণের দেওয়া করের প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় দিনাজপুর ও পঞ্চগড় কর অফিসের ছয়জন এবং সোনালী ব্যাংকের এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।
Published : 28 May 2019, 06:28 PM
মঙ্গলবার বিভিন্ন জেলা থেকে এদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে দুদক দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দিনাজপুর কর অফিসের ৪০ লাখ টাকা এবং পঞ্চগড় কর অফিসের দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের পৃথক দুটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দিনাজপুরের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন লালমনিরহাট কর অফিসের প্রধান সহকারী আব্দুল মজিদ, দিনাজপুর কর অফিসের অস্থায়ী অফিস সহকারী নীরেন চন্দ্র সরকার, আক্তারুজ্জামান আপেল এবং সোনালী ব্যাংক দিনাজপুর করপোরেট শাখার ক্যাশ অফিসার মো. হাবিব।
পঞ্চগড়ের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন কুড়িগ্রাম কর অফিসের উচ্চমান সহকারী রফিকুল ইসলাম, নীলফামারী অফিসের উচ্চমান সহকারী ফিরোজ জামান এবং পঞ্চগড় অফিসের নিরাপত্তা কর্মী রাজেকুল ইসলাম।
দিনাজপুরের মামলাটি দায়ের করেছে কর বিভাগ।
দিনাজপুর সার্কেলের সহকারী কর কমিশনার নানজীন আকতার নিপা ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০ মে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
পঞ্চগড়ের মামলাটি করেছে দুদক।
দুদক কর্মকর্তা আবু হেনা আশিকুর রহমান জানান, পঞ্চগড় কর অফিসের দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের পক্ষ থেকে গত ১৬ মে পঞ্চগড় থানায় মামলা করা হয়।
আবু হেনা বলেন, বিভিন্ন সময়ে জনগণের দেওয়া আয়করের টাকা সরকারের সংশ্লিষ্ট রাজস্ব খাতে জমা না দিয়ে তারা আত্মসাৎ করেছেন।
এই দুর্নীতির সঙ্গে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আয়কর অফিসের আরও অনেকে জড়িত রয়েছে এবং তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানান হেনা।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে আব্দুল মজিদ বর্তমানে লালমনিরহাট কর অফিসের প্রধান সহকারী। দুর্নীতির ঘটনার সময় তিনি দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন।
এছাড়া বর্তমানে রফিকুল ইসলাম কুড়িগ্রাম আয়কর অফিসের উচ্চমান সহকারী এবং ফিরোজ জামান নীলফামারী অফিসের উচ্চমান সহকারী। দুর্নীতির ঘটনার সময় তারা পঞ্চগড়ে কর্মরত ছিলেন।