ষষ্ঠ ফিফটিতে প্রিমিয়ার লিগে পাঁচশ রান ছাড়ালেন তামিম ইকবাল, ছন্দে থাকা মুশফিকুর রহিম খেললেন ৫৯ রানের ইনিংস।
Published : 30 Apr 2024, 04:54 PM
নতুন বলে তোপ দাগালেন হাসান মাহমুদ। পুরোনো বলে ক্ষুরধার হয়ে উঠলেন রেজাউর রহমান রাজা। দুই পেসারের সঙ্গে কার্যকর বোলিং করলেন দুই স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু ও সানজামুল ইসলাম। পরে ব্যাট হাতে বাউন্ডারির পসর সাজালেন তামিম ইকবাল। মুশফিকুর রহিম উপহার দিলেন অপরাজিত ফিফটি। সবকিছুর যোগফল- প্রাইম ব্যাংকের বড় জয়।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৭ উইকেটে হারায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
ফতুল্লায় মঙ্গলবার গাজী গ্রুপকে ১৮১ রানে আটকে রেখে প্রাইম ব্যাংকের বোলাররা এগিয়ে রাখেন কাজ। ৩৬ রানে ৩ উইকেট নেন রাজ, ৪১ রানে ৩টি হাসান মাহমুদ।
রান তাড়ায় প্রাইম ব্যাংক জিতে যায় ৩১.৩ ওভারেই। ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৭৪ বলে ৭৬ রান আসরে তামিমের ব্যাট থেকে। বোলারদের নৈপুণ্যের ম্যাচে ম্যান অব দা ম্যাচ তিনিই। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৫৯ রানে।
দারুণ ছন্দে লিগ শুরু করা তামিম খেই হারিয়েছিলেন সবশেষ কয়েক ম্যাচে। চার ম্যাচ পর আবার তার ব্যাট থেকে এসেছে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। লিগে এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে ৬ ফিফটিতে ৫১৫ রান করে রানের তালিকায় তিনি আছেন পাঁচে।
সুপার লিগে তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল প্রাইম ব্যাংক। সব মিলিয়ে ১৪ ম্যাচে ৮ জয়ে পাঁচ নম্বরেই রইল তারা। সুপার লিগে তিন ম্যাচেই হেরে গাজী গ্রুপ সাত জয় নিয়ে আছে ছয় নম্বরে।
খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি গাজী গ্রুপ। দলের পাঁচ ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক ছুঁলেও ৪০ ছুঁতে পারেননি কেউই।
২ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ বলে ৩৯ রান করেন আট নম্বরে নামা আব্দুল গাফফার সাকলাইন। সমান বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন মইন খান।
প্রাইম ব্যাংকের দুই বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ও সানজামুল উইকেট নেন দুটি করে।
জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেওয়া পারভেজ হোসেনকে এ দিন পায়নি প্রাইম ব্যাংক। তামিমের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন শাহাদাত হোসেন। তীব্র গরমের মধ্যে রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৫২ রান যোগ করেন দুজন।
হাবিবুর রহমানের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে ফেরেন ৩০ বলে ১৬ রান করা শাহাদাত। তিনে নেমে প্রথম বলেই স্লিপে ক্যাচ দেন জাকির হাসান।
তবে প্রাইম ব্যাংকে বিপাকে পড়তে হয়নি। দলকে এগিয়ে নেন তামিম ও মুশফিক। তৃতীয় উইকেটে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান গড়ে তোলেন ৬৬ বলে ৭২ রানের জুটি।
২২তম ওভার শেষে পানি পানের বিরতিতে বেশ ক্লান্ত দেখা যায় তামিমকে। নিজেই চোখে-মুখে বরফ দিতে থাকেন তখন।
পরে খেলা শুরু হলে ওই ওভারেই মইনের শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দেন অভিজ্ঞ ওপেনার।
তামিম ফেরার পর আর বিপদ ঘটতে দেননি মুশফিক ও মোহাম্মদ মিঠুন। ৫৪ বলে ৬০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ শেষ করেন তারা।
লিগে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তৃতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৫ বলে ৫৯ রান করেন মুশফিক। ২৯ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন মিঠুন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৪১.৩ ওভারে ১৮১ (মারুফ ২৪, আনিসুল ৫, হাবিবুর ২০, সাব্বির ২৮, আল আমিন ৩, পারভেজ ৪, মইন ৩৬*, গাফফার ৩৯, মাসুম ০, রুয়েল ৯, হুসনা হাবিব ০, হাসান ৭-১-৪১-৩, নাজমুল ৯.৩-০-৩২-২, সানজামুল ১০-০-৩৫-২, রাজা ১০-১-৩৬-৩, অলক ৩-০-২১-০, এনামুল ২-০-১০-০)
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৩১.৩ ওভারে ১৮৬/৩ (তামিম ৭৬, শাহাদাত ১৬, জাকির ০, মুশফিক ৫৯*, মিঠুন ৩১*; রুয়েল ৫-১-৩২-০, মাসুম ৫-০-১৯-০, হুসনা হাবিব ৭-০-৩৯-০, গাফফার ৪-০-২০-০, পারভেজ ৫-০-৩৬-১, মইন ৫-০-৩২-১, মেহেদি ০.৩-০-৭-০)
ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: তামিম ইকবাল