‘আধিপত্য বিস্তার ও পরিবহন চাঁদাবাজিকে’ কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে আহত করেছে একদল হামলাকারী।
Published : 18 Nov 2018, 05:19 PM
বন্দর থানার ওসি আজহারুল ইসলাম জানান, রোববার মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত খলিল মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
এই ঘটনার জের ধরে খলিল মিয়ার সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা ও দুই ঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়াসেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে।
দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে ওসি জানান, আধিপত্য বিস্তার ও পরিবহন চাঁদাবাজি নিয়ে খলিলুর রহমানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আমির সোহেল গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিল।
“এই বিরোধের জের ধরে রোববার দুপুর ১২টার দিকে আমির সোহেলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় খলিলুর রহমানের মালিকানাধীন পোল্ট্রি ফিডের দোকানে হামলা চালায় এবং খলিলুরকে কুপিয়ে আহত করে।
“গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
ওসি বলেন, এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুপুর ১টার দিকে খলিলুর রহমান গ্রুপের সদস্যরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে আমির সোহেল গ্রুপের সদস্যদের বাড়িঘরে হামলা চালায় এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে।
“এ সময় তারা মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে আমির হোসেন গ্রুপ পাল্টা হামলা করলে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাকেল নিক্ষেপ।”
বেশ কয়েকটি যানবাহন ও দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও ওসি জানান।
“এই ঘটনায় দুপুর ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।”
পরে পুলিশের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেয় বলে ওসি জানান।