লক্ষ্মী পূজাকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় শত বছরের প্রতিমার হাট জমে উঠেছে।
Published : 23 Oct 2018, 11:04 AM
কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার জানান, তার উপজেলার ২০টি স্থানে শত বছর ধরে লক্ষ্মী প্রতিমার এ হাট বসে।
প্রতি বছর দুর্গাপূজার বিজয় দশমী পর থেকে কালিগঞ্জ, পীড়ারবাড়ী, কান্দি, ধারাবাসাইল, শুয়াগ্রাম, চৌধুরীরহাট, ঘাঘর, কলাবাড়ি, রামশীল, জহরেরকান্দি, ওয়াপদারহাট,নৈয়ারবাড়ি, রাধাগঞ্জ, ভাঙ্গারহাট, মনোহর মার্কেট, পশ্চিমপাড়, রাজাপুর, কুশলা, লাখিরপাড় ও হিরণে লক্ষ্মী প্রতিমার হাট বসে।
এ বছর বুধবার লক্ষ্মী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এ হাটে এখন চলছে কেনাবেচার ধুম। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দেখেশুনে পছন্দের লক্ষ্মী প্রতিমা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হাট বসলেও লক্ষ্মী প্রতিমা মূলত হিরণ গ্রামে তৈরি হয় বলে স্থানীয় মৃৎ শিল্পী হেমন্ত পাল জানান।
গত চার পুরুষ ধরে এসব হাটে তারা প্রতিমা বিক্রি করে আসছেন জানিয়ে বিডিনিউজ টোয়োন্টফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এ অঞ্চলে ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপূজা হয়। ফলে প্রতিটি হাটেই প্রতিমার ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় এ সময়টা আমাদের আয়ও বেশি। ”
প্রতিমা ক্রেতা স্থানীয় শঙ্কর বিশ্বাস বলেন, “হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন যে, লক্ষ্মী দেবী তুষ্ট হলে ধন, সম্পদ ও ফসলে ধরণী পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই ঘরে ঘরে এ দেবীর পূজা করা হয়।”
আরেক ক্রেতা রতন বাড়ৈ বলেন, “লক্ষ্মীপূজা করলে সংসারের অভাব অনটন দূর হয়। পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকতে পারি।”
একই কথা জানিয়ে হাটে আসা স্বপন মালাকার বলেন, “প্রতিমার হাটে প্রচুর প্রতিমা বিক্রি হয়। আমরা বংশ পরম্পরায় এসব হাট থেকেই প্রতিমা কিনে আসছি।”
চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, “উৎসবমুখর পরিবেশে হাটগুলোতে প্রতিমা বেচাকেনা চলছে। কোটালীপাড়ায় ঐতিহ্যবাহী এ লক্ষ্মী প্রতিমা প্রতিমারহাট আরও শত শত বছর টিকে থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”