ফেনীতে কথিত বন্দুকযুদ্ধের পৃথক ঘটনায় দুই জন নিহত হয়েছেন, যারা মাদকের কারবারের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছে র্যাব।
Published : 05 Sep 2018, 12:58 AM
এরা হলেন- চাঁদপুরের শাহরাস্তির ইচ্ছাপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনর ছেলে কবীর হোসেন (৩৭) ও ফেনী সদরের ধর্মপুরের ইউনিয়নের কাঠালতলা গ্রামের মানু মিয়ার ছেলে সুমন (৩২) ওরফে লাল সুমন।
বুধবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লেমুয়া এলাকায় এবং আগের রাতে ফেনী শহরের সুলতানপুর এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে বলে র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বুধবার ভোরে লেমুয়া এলাকায় টেকনাফ থেকে ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যান র্যাবের চেকপোস্ট দেখে লেমুয়া আঞ্চলিক সড়কে প্রবেশের চেষ্টা করে। তখন র্যাব কাভার্ড ভ্যানটিকে ধাওয়া করলে কাভার্ড ভ্যান থেকে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। তখন র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়।
“এতে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ কবীর হোসেনকে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।”
ঘটনাস্থল থেকে একলাখ ৮০ হাজার ইয়াবা, একটি ওয়ান শুটারগান ও ৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে র্যাব।
অপরদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি সমুন বড় চালান পাচার করছে- এমন সংবাদ পেয়ে র্যাব সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে শহরের সুলতানপুর এলাকায় অভিযান চালায় বলে জানান শাফায়াত।
তিনি বলেন, “ভান্ডারি পুকুর পাড় নামক স্থানে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সুমন র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে মাদক ব্যবসায়ী সুমন গুলিবিদ্ধ হয়।”
তাকে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে বলে র্যাব কর্মকর্তা জানান।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি ও চার হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে। সুমনের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় তিনটি মাদকের মামলাসহ অন্তত ১২টি মামলা রয়েছে।
নিহত দুজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।