নানা আয়োজনে বগুড়া ও নেত্রকোণায় বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত হয়েছে।
Published : 23 Mar 2018, 09:40 PM
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনকে স্মরণ করতে শুক্রবার এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বগুড়া প্রতিনিধি জানান, দিনটি পালনোপলক্ষে জেলা সদরে পতাকা মিছিল, সমাবেশ, স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বগুড়া জিলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিক মমতাজ উদ্দিনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ সময় প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী মমতাজ উদ্দিনের নামে জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ডালিয়া নাসরিন রিক্তা গান পরিবেশন করেন। সমাবেশে স্মৃতিচারণও করেন সে সময়ের কর্মীরা।
বগুড়ায় স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী মমতাজ উদ্দিন বলেন, “বগুড়ায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক এবং ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আমি ২৩শে মার্চ বগুড়া শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে আমি স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেছিলাম।”
জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে বিকেলে শহরের জিলা স্কুল মাঠে সমবেত হন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন ফেস্টুন উড়ানোর পর শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জিলা স্কুল মাঠে ফিরে আসে।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রুহুল আমিন বাবলুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
নেত্রকোণা প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোণায় পাকিস্তানি পতাকা পোড়ানো ও বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত হয়েছে।
শুক্রবার শহরের তেরিবাজার এলাকায় জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের উদ্যোগে সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠান হয়।
একাত্তরের জয় বাংলা বাহিনীর নেত্রকোনা কমান্ডার শামছুজ্জোহার সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়, নেত্রকোণা পৌরমেয়র নজরুল ইসলাম খান, মুক্তিযোদ্ধা ও লোকগবেষক গোলাম এরশাদুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, অধ্যাপক মানিক রায়, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি কেশব সরকার প্রমুখ।
একাত্তরের এই দিনে শহরের মোক্তারপাড়া খেলার মাঠে সকাল ১০টার দিকে পাকিস্তানি পতাকা পোড়ানো হয়। পরে তখনকার নেত্রকোণা পৌর চেয়ারম্যান এনআই খান বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।
আয়োজকদের পক্ষে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম জানান, প্রথমবারের মতো নেত্রকোণায় দিবসটি পালিত হয়েছে।