গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ৩২টি অতি জরাজীর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে চলছে পাঠদান।
Published : 06 Feb 2018, 05:33 PM
এসব বিদ্যালয়ের অনেক ভবন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কোনোকোনোটিতে গাছতলা বা টিনের আস্থায়ী ঘরে পাঠ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। শীত, গ্রীস্ম ও বর্ষায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
কোটালীপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানা গেছে, এ উপজেলায় মোট ১৮৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৩২টি প্রথমিক বিদ্যালয় অতি জড়াজীর্ণ। এগুলোর মধ্যে ৩০টির ভবন অব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত। এসব স্কুলে টিনের অস্থায়ী ঘরে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
“নতুন ভবন নির্মিত হলে আমাদের দুঃখ কষ্ট লাঘব হবে। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার প্রতি আরও মনোযোগী ও যত্নবান হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
কোটালীপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, “অতি জড়াজীর্ণ ৩২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন দ্রুত নির্মাণের জন্য আমরা অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। এগুলোর কাজ এ অর্থবছরের মধ্যে শুরু হবে বলে আশা করছি।”
এ ছাড়া কম জড়াজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
শীতে গাছতলায় ক্লাস করতে খুব কষ্ট হয়, পড়াশেনায় মন বসে না বলে জানায় তারা।
একই স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র দিগন্ত বিশ্বাসের মা দীপালী বিশ্বাস বলেন, স্কুলের ভবন পরিত্যক্ত। তাই অস্থায়ী টিনের ঘরে বা খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। স্কুলে ভালো পরিবেশ নেই।