সরকার সমঝোতায় না এলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আন্দোলনের বিকল্প থাকবে না বলে মনে করেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ।
Published : 24 Nov 2017, 05:19 PM
তবে শেষ মুহূর্তে হলেও সরকার সমোঝতায় আসবে বলে আশা করছেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
শুক্রবার নোয়াখালী জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভায় মওদুদ বলেন, “দেশ এখন গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। আমরা ভোটের অধিকার হারিয়েছি, আমরা গণতন্ত্র হারিয়েছি, মৌলিক অধিকার হারিয়েছি, আইনের শাসন হারিয়েছি, সংবাদপত্রের-সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হারিয়েছি। এখন বিচার বিভাগের স্বাধীনতাও আমরা হারিয়েছি।”
খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বে, ২০ দলীয় জোটের নেতৃত্বে এই অধিকারগুলো ফিরিয়ে আনতে দলের সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
কয়েকদিন আগে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় তিনি বলেছিলেন, ‘সরকার আলোচনায় না বসলে টেনে হিঁচড়ে অসম্মানজনকভাবে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে’
ওই মন্তব্যকে ঘিরে সরকারি দলের তোপের মুখে পড়েছিলেন বিএনপি শাসনামলের এই মন্ত্রী।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ বলেন, তারা চান সমঝোতার মাধ্যমে এই সংকটের সমাধান হোক। গত দুই বছরে আন্দোলনের কর্মসূচি না দিয়ে তারা অনেক ধৈর্য ধারণ করেছেন।
তাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার পর মামলা হয়েছে, সরকারের নিপীড়ন নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন মওদুদ।
“আমরা একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই যাতে করে সমঝোতার মাধ্যমে আগামীতে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারি। আমি মনে করি সরকার শেষ মুহূর্তে হলেও বিরোধী দলের সাথে সমঝোতায় এগিয়ে আসবে।
“সরকার সমঝোতায় না আসলে আন্দোলনের অন্য কোন বিকল্প থাকবে না।”
তবে আগের মতো, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচন বাংলাদেশের মাটিতে কোনোদিন হবে না বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
সেই পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য দলের সবাইকে তিনি সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
জেলা শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত ওই সভায় মওদুদ আহমদ আরও বলেন, সংবিধান মানুষের জন্য, মানুষ সংবিধানের জন্য নয়।
“১৯৯১ সালে সাহাবুদ্দিনের সরকার যে নির্বাচন করেছে, সে নির্বাচনও সংবিধানে ছিল না; কিন্তু সমঝোতার মাধ্যমে তখন সে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।”
জেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক ও যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।