‘থানায় ঢুকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলা’র ঘটনা তদন্তে নির্দেশ ইসির

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে কর্মী-সমর্থক নিয়ে থানায় ঢুকে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশনার-ইসি। এছাড়া অভিযোগ আসা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।

শুক্রবার রাতে পৃথক পত্রে এই দুই আদেশ দেওয়া হয়। আদেশ অনুযায়ী আগামী দুদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বেলকুচি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম (দোয়াত কলম) তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ১ মে রাতে বেলকুচি থানার ভেতর ঢুকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকির (মোটরসাইকেল) ও তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করেন। তার নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা দিয়েছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্যের নামে প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। এসবের ভিডিও ফুটেজসহ লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানায় হামলার ঘটনায় বদিউজ্জামান সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকেও মামলা করা হয়েছে।”

শহিদুল ইসলাম জানান, এসব কর্মকাণ্ড উপজেলা পরিষদের নির্বাচনি আচরণ বিধিমালার পরিপন্থি। যে কারণে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে জেলা নির্বাচন অফিসের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।

সেইসঙ্গে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করতে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা লিখিত নির্দেশ দিয়েছেন।

নির্দেশ অনুযায়ী আগামী দুদিনের মধ্যে ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শহিদুল ইসলাম আরো জানান, শুক্রবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহরের শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা মতবিনিময় সভা করেন। ওই সভায় বেলকুচি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকির মৌখিকভাবে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানার কাছে অভিযোগ করেন। পরে অভিযোগটি লিখিত আকারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেন তিনি।

প্রথম ধাপে ৮ মে বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়া তিন প্রার্থীই আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা।