ঢাকার সাভার উপজেলায় ৫০০ টাকায় রফার চেষ্টার সেই ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে; এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
Published : 28 Sep 2017, 03:33 PM
তবে আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মাদবর তাকে ৫০০ টাকা দিয়ে মামলা না করার ভয় দেখান বলে যে অভিযোগ ওই পোশাককর্মী করেছিলেন সে কথা মামলায় উল্লেখ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার ওসি আবদুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বুধবার গভীর রাতে দোষাইদ চারাবাগ এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন – চারাবাগ এলাকার একটি গুদামের নিরাপত্তাকর্মী জাহাঙ্গীর হোসেন (৩২) ও পলাশ মাহমুদ (৩৫)।
অন্য দুই আসামি পলাতক ইস্রাফিল (২২) ও তার বন্ধু শরিফুল ইসলামকে (২৩) গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি আউয়াল।
তিনি মামলার বরাতে বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বিয়ের কথা বলে পূর্বপরিচিত ইস্রাফিল ওই পোশাককর্মীকে ওই গুদামে নিয়ে যান।
“সেখানে ইস্রাফিল তার বন্ধু শরিফুল ইসলামের কাছে তাকে রেখে দুই হাজার টাকা নিয়ে চলে যান। পরে শরিফুল ও গুদামের দুই নিরাপত্তাকর্মী তাকে ধর্ষণ করেন। তার চিৎকার শুনে লোকজন এসে উদ্ধার করে।”
পোশাকর্মী অভিযোগ করেছিলেন, ঘটনার পর আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মাদবর তাকে ৫০০ টাকা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন এবং মামলা করতে নিষেধ করেন।
মঙ্গলবার ঘটনা জানার পর পুলিশ পোশাককর্মীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় ওসি আউয়াল বলেন, এ ঘটনায় পোশাককর্মী চারজনের নামে মামলা করেছেন।
আটক দুইজনকে বৃহস্পতিবার পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান ওসি আউয়াল।