পোশাককর্মীকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণ’, ৫০০ টাকায় রফার চেষ্টা

ঢাকার আশুলিয়ায় এক পোশাক শ্রমিককে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ৫০০ টাকায় রফার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2017, 01:33 PM
Updated : 28 Sept 2017, 09:33 AM

আশুলিয়ার দোষাইদ চারাবাগ এলাকায় শুক্রবার রাতের ওই ঘটনা সম্পর্কে ধামাচাপা দিতে আশুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মাদবর ৫০০ টাকা দিয়ে ‘মুখ বন্ধ রাখতে বলেছেন’ এমন অভিযোগ মেয়েটির।

ঘটনা জানার পর মেয়েটিকে তার সাভারের বাসা থেকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে আশুলিয়া থানার এসআই শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।

সাভার থানা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমজাদুল হক জানান, মেয়েটিকে বেলা ৩টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়।

“তবে গণধর্ষণের ঘটনা হওয়ায় পুলিশের সহায়তায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।”

ওই পোশাক শ্রমিক জানান, তিনি সাভার পৌর এলাকার কর্ণপাড়ায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। এর আগে দোসাইদ এলাকার একটি কারখানায় কাজ করার সময় স্থানীয় ইস্রাফিল নামের এক যুবকের সাথে তার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে।

“শুক্রবার সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফেরার পথে বিয়ের কথা বলে ইস্রাফিল দোষাইদ চারাবাগ এলাকায় একটি পরিত্যাক্ত গুদামে নিয়ে যায়। সেখানে বন্ধু শরিফুল ইসলামের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে আমাকে রেখে চলে যায়। পরে শরিফুল, গুদামের দুই গার্ড জাহাঙ্গীর আলম ও পলাশ আমাকে ধর্ষণ করে।”

কিছুক্ষণ পর ইস্রাফিল ফেরার পর তাদের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যকে হোসেন আলী মাস্টারকে খবর দেয় বলে জানান মেয়েটি।

বাবা-মা না থাকায় বোনের কাছে থাকেন জানিয়ে তিনি বলেন, “মেম্বার আমাদের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে গেলে চেয়ারম্যান আমাকে ভয় দেখিয়ে বলে, ‘তোমার বোন জামাই বিএনপি করে, মামলা করলে বিপদ হবে। ৫০০ টাকা দিলাম, নিয়ে চুপচাপ বাসায় চলে যাও’।”

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হোসেন আলী বলেন, “ধর্ষণের ঘটনা হওয়ায় তাদের আমি চেয়ারম্যানের কাছে পাঠিয়ে দেই। তবে চেয়ারম্যান তাদের কী করছে বলতে পারি না।”

টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মাদবর।

তিনি বলেন, “মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা মামলা করবে না; তাই ৫০০ টাকা দিয়ে মেয়েটিকে বাড়ি চলে যেতে বলেছি।”

এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই পোশাক শ্রমিক আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন বলে এসআই শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।

তবে মামলায় কয়জনকে আসামি করা হয়েছে তা জানাননি তিনি।