গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল পল্লীতে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনায় ‘লুট হওয়া’ সাত বান্ডেল ঢেউটিন উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
Published : 07 Aug 2017, 08:50 PM
সাঁওতালপল্লীতে বিচারিক হাকিম ও পিবিআইয়ের তদন্ত শুরু
সাঁওতাল পল্লীতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
সাঁওতালপল্লীতে আগুন: এসপি, পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহারের নির্দেশ
সোমবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা পিবিআইয়ের এসআই মোজাম্মেল হক এ কথা জানান।
১৯৬২ সালে রংপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ সাঁওতাল ও বাঙালিদের ১৮টি গ্রামের এক হাজার ৮৪০ দশমিক ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করে আখ চাষের জন্য সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার গড়ে তুলেছিল। ওই জমি ইজারা দিয়ে ধান ও তামাক চাষ করে অধিগ্রহণের চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ তুলে তার দখল ফিরে পেতে আন্দোলনে নামে সাঁওতালরা।
সংঘর্ষের সময় সাঁওতালদের বাড়িঘরে লুটপাট হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায়। ওই ঘটনায় নিহত হন তিন সাঁওতাল, আহত হন অনেকে।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ও সাঁওতালদের পক্ষ থেকে দুটি মামলা করা হয়। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সাঁওতালদের ঘরে আগুন, লুটপাট ও হামলার ঘটনা তদন্তে পিবিআইকে নির্দেশ দেয় উচ্চ আাদালত।
“সকাল সাতটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে উপজেলার কাটামোড়, কামারপাড়া ও কটিয়ারপাড়া গ্রাম থেকে প্রায় সাত বান্ডেল ঢেউটিন উদ্ধার করা হয়। তবে কেউ গ্রেপ্তার হয়ননি।”