শিমুলিয়া ঘাটে ফেরির অপেক্ষা

ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে।

শনিবার সকাল ৯টায় ছয় শতাধিক যানবাহনকে ফেরিঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে, যার মধ্যে ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশি।

ভোর থেকে দীর্ঘ অপেক্ষায় দুর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন জেলার যাত্রীরা। ফেরিতে দেরি হওয়ায় ভেঙে ভেঙে বাড়ি পৌঁছানোর চেষ্টায় অনেকে লঞ্চ আর স্পিডবোটে করেও পদ্মা পার হচ্ছেন । অনেক লঞ্চ ও স্পিডবোটে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতেও দেখা গেছে।

শিমুলিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক আব্দুল আলীম বলেন, “ভোর থেকে যাত্রী আর যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির চাপও বাড়ছে।”

তিনি জানান, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এবার চারটি রো রো ফেরিসহ ১৮টি ফেরি শিমুলিয়া থেকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে যানবাহন পারাপার করছে।

“খনন আর ঘাট স্থানান্তরের পর এই নৌ পথের দূরত্ব পাঁচ কিলোমিটার কমে এসেছে। ফলে ট্রিপ আগের তুলনায় বেড়েছে। আপাতত পণ্যবাহী যান পারাপার বন্ধ রয়েছে। তারপরও ঘাটে ছয় শতাধিক গাড়ি অপেক্ষায় আছে।”

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিমা আক্তার জানান, ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ছয়শ পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও র‌্যাব সদস্যরা ঘাট এলাকায় কাজ করছেন।

এদিকে ঢাকা থেকে মাওয়াগামী গুনগুন পরিবহনের একটি বাস সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার বেজগাঁওয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পরে গেলে অন্তত ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন।

আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে।

এদিকে গত তিন দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে যানজট দেখা গেলেও শনিবার সকালে মোটামুটি নির্বিঘ্নেই যান চলাচলের খবর জানিয়েছেন ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এস আই হাসেম উদ্দিন।

তিনি বলেন, “শুক্রবার রাত থেকে গাড়ির চাপ কিছুটা কমে এসেছে। এখন মহাসড়কের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।”

ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ১২০ জন পুলিশ সদস্য মহাসড়কের গজারিয়া অংশে কাজ করছেন বলে এস আই হাসেম জানান।