সিলেটে নির্বাচনী সহিংসতায় আরও একজনের মৃত্যু

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার ভোরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল মিয়ার (৩৫) মৃত্যু হয় বলে ওসমানী নগর থানার ওসি আব্দুল আউয়াল চৌধুরী জানান।

সোহেল ওসমানীনগরের দক্ষিণ কালনীচর গ্রামের মাহমুদ মিয়া ছেলে।

রোববার ওসমানীনগরের সাদীপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার হাতানিপাড়া গ্রামে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আতাউর রহমান ও বিদ্রোহী আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম নামে ১৭ বছর বয়সী এক তরুণের মৃত্যু হয়।

আহত হয় আরও অন্তত ২০ জন। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে রোববার রাতেই ওসমানীনগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে বলে ওসি জানান। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ওসি আউয়াল জানান, নিহত সোগেল বিদ্রোহী আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলুর এবং নিহত সাইফুল আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো.আতাউর রহমানের সমর্থক।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকালে জগলুকে নিয়ে সাদীপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কবির উদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য আরজু মিয়া, তার ভাই বাহার মিয়াসহ বেশ কিছু সমর্থক সাদীপুর ইউপির বাংলাবাজারে গণসংযোগে যান।

তারা জানান, এ সময় পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার উত্তর কালনীচর গ্রামের কয়েকজন যুবককে তাদের পক্ষে কাজ করার জন্যে বললে তারা অপারগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।

এর জেরে রোববার সকাল ১০টার দিকে আতাউর রহমান ও জগলুর সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়ায় বলে এলাকাবাসী জানায়।

আগামী ৬ মার্চ সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলা পরিষদে ভোট অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।

সিলেটে নির্বাচনী সহিংসতায় তরুণ নিহত