শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধের আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী চন্দন কুমার পাল।
Published : 23 Dec 2016, 04:00 PM
শুক্রবার সকালে শহরের চকবাজারে জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
একই সঙ্গে তিনি শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের সংসদ সদস্য একেএম ফজলুল হক চাঁনের বিরুদ্ধেও বিধি লংঘন করে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হুমায়ুন কবীর রুমানের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে হুমায়ুন কবীর রুমান ও একেএম ফজলুল হক চাঁন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চন্দন পাল বলেন, “হুমায়ুন কবীর রুমান আমার বিজয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা আঁচ করতে পেরে বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্যসহ সাধারণ ভোটার-সমর্থকদের নানাভাবে প্রলোভিত করছেন।”
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. খোরশেদুজ্জামান, জেলা সহ-সভাপতি মজদুল হক মিনু, খন্দকার নজরুল ইসলাম ও ফখরুল মজিদ খোকন, শহর সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত প্রমুখ।
অভিযোগ সম্পর্কে শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের সাংসদ একেএম ফজলুল হক চাঁন বলেন, “আমার বিরুদ্ধে অসত্য, মিথ্যা, বনোয়াট ও সম্পূর্ণ কাল্পনিক অভিযোগ এনেছেন চন্দন কুমার পাল।
“আমি জেলা পরিষদের নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা থেকে অনেক দূরে। কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া এবং প্রকল্পসহ আর্থিক সুবিধা প্রদানের আশ্বাসের কথা অবান্তর।”
হুমায়ুন কবীর রুমান আচরণ বিধিমালা লংঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনে তার ভরাডুবি নিশ্চিত জেনে প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন এবং অহেতুক, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও লাগাম ছাড়া কথাবার্তা বলছেন।”
“আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয় এমন কথা বা কাজ আমি কখনও বলতে বা করতে পারি না।”