ঝালকাঠি শহরে কালী মন্দিরে হামলার ঘটনায় মন্দির কমিটি ও পার্শ্ববর্তী চাল ব্যবসায়ীরা পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা দায়ের করেছেন।
Published : 18 Nov 2016, 04:04 PM
বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দুটি নথিভুক্ত করা হয়েছে সদর থানার ওসি মো. মাহে আলম জানান।
জমির বিরোধে বারোচালা বাজারের জমি নিয়ে বিক্রেতাদের একটি দল ও মন্দির কমিটির বিরোধে বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
মন্দির কমিটির কমিটির পক্ষে দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেন তিন সহোদর দুলাল নাথ (৫২), গোপাল নাথ (৪৭) ও মানিক নাথ (৫০), হাকিম হাওলাদার (৫২), তার ভাই বাদশা হাওলাদার (৫০), জাকির (৫০), পার্থ সারথী সাহা (৪০) ও দীলিপ সাহা (৪৫)।
এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির লক্ষ্যে বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে কালীবাড়ি নাটমন্দিরে অবৈধ দখলকারী এ চাল ব্যবসায়ীসহ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা মন্দিরে ঢুকে ভক্তদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা কার্তিক প্রতিমাসহ মন্দিরের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ভাংচুর করে।
এ সময় প্রতিবাদ করলে মন্দিরের বেশ কয়েকজনকে লাঠিসোঠা ও ইটপাটকেল ছুড়ে আহত করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে এ মামলায়।
অপর আসামিরা হলেন বিষ্ণু ধর (৪৫), উদয় দাস (৩২), গোপাল সাহা (৪৫), জয় সাহা (৩২), কালাচান সাহা (৩২), দীনা সাহা (২৮) ও আনন্দ সাহা (২৮)।
এ মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কালীবাড়ির বারচালায় চালের বাজার রাখা বাবদ মন্দির কমিটি বাদীর মাধ্যমে চাল ব্যবসায়ীদের কাছে আট লাখ টাকা ‘চাঁদা’ দাবি করে।
“এতে অপারগতা প্রকাশ করলে প্রণব কুমারের নেতৃত্বে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আসামিরা চাল ব্যবসায়ীদের চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে। হামলায় চালের বস্তা ছিঁড়ে চাল ছড়িয়েছিটিয়ে পড়ে।”
এছাড়া মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রবণ কুমার এক চাল ব্যবসায়ীর ক্যাশ বাক্স ভেঙে এক লাখ ২৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে এ মামলায়।
এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি মাহে আলম।
বুধবার রাতে ঝালকাঠি শহরের কালী মন্দিরে কার্তিক পূজার শেষ পর্যায়ে কালীবাড়ি মন্দির কমিটি ও পাশের বারচালার চাল ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে মন্দিরের কার্তিক প্রতিমার মাথাসহ বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায়। পূজার প্রসাদসহ বিভিন আয়োজন তছনছ হয়ে যায়। ভাংচুর হয় চাল ব্যবসায়ীদের দোকানপাঠও।
পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।