রংপুরে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন চার জেএমবি সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।
Published : 06 Nov 2016, 05:37 PM
রোববার সন্ধ্যায় রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সফিউল আলম এ আদেশ দেন।
শনিবার গভীর রাতে সদর উপজেলার শাহাবাজপুরে এসএমবি এলাকার একটি পরিত্যক্ত ইটভাটা থেকে সন্দেহভাজন জেএমবি সদস্য এরশাদ আলী, বেলাল হোসেন, আল-আমীন ও আশরাফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে এক রাউন্ড গুলিসহ একটি দেশি রিভলবার, চারটি ককটেল, বেশকিছু চাপাতি ও চায়নিজ কুড়াল এবং জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন জানান, রোববার সকালে কোতোয়ালি থানার এসআই আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করেন।
“সন্ধ্যায় পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানির শেষে বিচারক সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।”
এদিকে, দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার চার ‘জেএমবি সদস্যের’ মধ্যে বেলাল জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যায় জড়িত এবং উত্তরাঞ্চলে ‘জেএমবির মাস্টার মাইন্ড’ সাদ্দাম হোসেন ওরফে রাহুলের দীক্ষাগুরু।
এসপির দাবি, বেলাল ১৯৯১ থেকে ৯৪ সাল পর্যন্ত ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করতেন। ২০১৩ সালে জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ২০১৪ সালে যোগ দেন জেএমবিতে। সাদ্দাম হোসেন ওরফে রাহুল তার কাছেই প্রশিক্ষণ নেন।
“সাদ্দাম কুনিও হোশি, মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা ও বাহাই সম্প্রদায়ের নেতা রুহুল আমীনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা এবং পঞ্চগড়ের মঠ অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায়কে হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। সাদ্দাম বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।”