নড়াইল জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
Published : 26 Oct 2016, 10:25 PM
নজরুল ইসলামের ভাতিজা করিমুল ইসলাম কুশল বাদী হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় নড়াইল সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান মুকুলসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৮/১০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
নড়াইল সদর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, হামলায় জড়িতদের আটকের অভিযান চলছে।
এদিকে, এই অ্যাডভোকেটের উপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার আদালত বর্জন করেছেন আইনজীবীরা। হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তারা। এছাড়া আসামিদের আইনি সহায়তা না দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সোহরাব হোসেন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আইনজীবী সমিতি ভবনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মণিপুরী তাঁত শিল্প ও জামদানি বেনারসি কল্যাণ ফাউন্ডেশন এবং গোপালগঞ্জ হ্যান্ডলুম অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে গত ১৩ অক্টোবর থেকে নড়াইলে হস্ত-বস্ত্র ও শিল্প মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় র্যাফেল ড্রর নামে জুয়া খেলার আয়োজন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে আন্দোলনের মুখে গত ২৩ অক্টোবর র্যাফেল ড্র বন্ধের ঘোষণা দেন নড়াইল জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফ।
হামলার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছাত্রমৈত্রীর নড়াইল জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রতীক বিশ্বাস সাধন বলেন, নজরুল ইসলাম লটারির নামে জুয়া বন্ধ আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। এ কারণে কতিপয় সন্ত্রাসী হত্যার উদ্দেশে এ হামলা চালিয়েছে।
অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বলেন, লটারি নিয়ে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ৩/৪ দিন আগে ফেসবুকে স্টাটাসে রূপগঞ্জের মাহফুজ নামের একটি আইডি থেকে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।