নারায়ণগঞ্জে শিশু সাগর বর্মনকে মলদ্বারে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন সহকর্মী শিশু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে।
Published : 29 Jul 2016, 09:50 PM
একই আদালতে আরেক সহকর্মী হাফিজুল সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেয়।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইশতিয়াক আহম্মেদের আদালতে এ জবানবন্দি রের্কড করা হয়।
এ তিন শিশু হলো কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দড়ি জাহাঙ্গীরপুরের রিটনের ছেলে মো. রাকিব (১২), একই জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাইদা নামা গ্রামের হক মিয়ার ছেলে মো. আকাশ (১২) ও নরসিংদী সদরের কাজীকান্দি গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে সোহেল (১৩)।
তারা সবাই রূপগঞ্জ উপজেলার দীঘি বরাব এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে চাকরি করত।
গত রোববার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের যাত্রামুড়া এলাকায় জোবেদা টেক্সটাইল মিলে মলদ্বারে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু সাগর বর্মনকে (১০) হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় সাগর বর্মনের বাবা রতন বর্মন বাদী হয়ে কারখানার চার কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) নাজমুল হুদাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নিয়েছে।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার কারখানার সিনিয়র উৎপাদন কর্মকর্তা সৈয়দ আজাহার ইমাম সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ এবং রূপগঞ্জ উপজেলার দিঘী বরাব এলাকায় অভিযান চালিয়ে কারখানার লাইনম্যান সোহাগ হোসেন ওরফে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এরপর বৃহস্পতিবার উপজেলার দীঘি বরাব এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিহত সাগর বর্মনের তিন সহকর্মী শিশুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।