ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ ধেয়ে আসার খবরে নিরাপত্তাহীনতার আতঙ্কে ভুগছে জেলার ১০ লক্ষাধিক মানুষ।
Published : 21 May 2016, 12:58 AM
শুক্রবার জেলা প্রশাসক মহাম্মদ বশিরুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জেলায় ৩৩৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র থাকলেও সেখানে মাত্র লাখখানেক মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।
“জেলার বাকি ৯ লক্ষাধিক মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজেদের বাড়িতেই অবস্থান করতে হবে।”
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টির মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে নদী ও খালে জোয়ারের পানি।
সরজমিনে দেখা গেছে, শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে ৪১/১ পোল্ডারে বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার বাড়িঘর, কৃষিজমি ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম শহিদুল ইসলাম জানান, তারা ২০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সংস্কারে কাজ করছেন।
কাজ শেষ করতে তাদের আরও দুই মাস সময় লাগতে পারে বলে তিনি জানান।
কাজ শেষ করার আগে জলোচ্ছ্বাস হলে সংস্কারাধীন বাঁধ হুমকির মধ্যে পড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
জেলার ৮৬০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে সিডর ও আইলায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। তার মধ্যে তিন কিলোমিটার বাঁধ একেবারেই বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে প্রকৌশলী শহিদুল জানান।
তবে জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধিদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।